Sunday, November 24, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদবন্যার্তদের জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ

বন্যার্তদের জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ

picture (1)

বাংলাদেশের সমাজতন্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে  ৩ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জরুরী ভিত্তিতে বন্যার্ত অসহায় মানুষদের সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা ও পুনর্বাসনের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও সাইফুজ্জামান সাকন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গুলশান-শোলাকিয়ায় নৃশংস হত্যাকান্ডের আতঙ্কের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ বানভাসি মানুষের মানবেতর জীবনের প্রতিচ্ছবি অনেকটা যেন দৃষ্টির আড়ালেই মিলিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৪০ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। সরকারি হিসেবে ১৬ জেলার ৫৯ উপজেলার প্রায় ১৫ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ২২ হাজার ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ইতোমধ্যে মারা গেছে প্রায় ৪০ জন। বসতবাড়ি ও সম্পদ হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। পানিবন্দী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি, মাছের ঘের, পুকুর, বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ। শিক্ষা উপকরণ পানির তোড়ে ভেসে গেছে। ভবিষ্যতের চরম অনিশ্চয়তায় যখন অন্ধকার দেখছে মানুষ, সরকারের ভূমিকা নিতান্তই দায়সারা! সরকার বলছে, ত্রাণের অভাব নেই। এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দ জনপ্রতি ২১ টাকা যা প্রয়োজনের তুলনাই খুবই অপ্রতুল। সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, ত্রাণ নিয়ে তামাশা চলছে। অথচ সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কর্তা-ব্যক্তিরা বলেছেন ‘ত্রাণের অভাব নেই’ এরকম দায়হীন বক্তব্যে খাদ্য ও আশ্রয়হীন মানুষের প্রতি চরম অবমাননাকর।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বন্যা সমস্যার সমাধানকল্পে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যেমন দরকার, আশু দরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ করা এবং চাল, ডাল, তেল, লবনসহ বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রদান করা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা মেরামতের কাজ, খাদ্য ও আশ্রয়হীন মানুষের উঠে দাঁড়ানোর জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করা। এ জন্য ফসলি জমির ক্ষতিপূরণসহ বীজ সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষি ঋণ মওকুফ, ঘরবাড়ি নির্মাণসহ স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পড়া অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব দায়িত্ব একান্ত সরকারের।”

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বন্যা প্লাবিত অঞ্চলকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে সরকারী উদ্যোগে জরুরী ভিত্তিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করার দাবি জানান পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের কাছে নিজেদের সাধ্যানুযায়ী অসহায় বানভাসি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments