বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রত্যাহারের দাবিতে ২০ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীতে মানববন্ধন সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। প্রেসক্লাব চত্বরে সংগঠনের জেলা আহবায়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু, পার্টির জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, কৃষক প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার প্রামানিক, সাহিদুল ইসলাম সুমন, ইসলাম উদ্দিন, আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত সাব রেজিস্ট্রি-ভূমি-সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়ম-হয়রানীর মুখোমুখী হতে হয়। এর পাশাপাশি বর্তমানে নতুন মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর। চলতি বাংলা সন ১৪২২ হতে সরকারি নির্দেশের কথা বলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার শতক প্রতি বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন কর বাণিজ্যিক-২৫০ টাকা, শিল্প-১৫০ টাকা, কৃষি-আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত-৫০ টাকা হারে আদায় শুরু করেছে। বিগতসময়ে শতক প্রতি বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন কর আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত ছিল ৭ টাকা। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন বহির্ভূত এলাকায় শতক প্রতি বার্ষিক ভূমি উন্নয়ন কর বাণিজ্যিক-৪০ টাকা, শিল্প-৩০ টাকা, কৃষি-আবাসিক ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত-১০ টাকা হারে আদায় করছে। রংপুর কৃষি প্রধান অঞ্চল। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ৯০ ভাগ কৃষি জমি। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা প্রধানত কৃষির সাথে সম্পর্কিত। প্রতিনিয়ত উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, কিন্তু কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। ক্ষেতমজুর-দিনমজুরদের সারা বছরের কাজের নিশ্চয়তা নেই। রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গরীব মানুষদের জন্য টি.আর, কাবিখা, কর্মসৃজনসহ সকল প্রকার সরকারি সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে। এমনি পরিস্থিতিতে বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর এই মানুষদের জীবনে গোদের উপর বিষের ফোঁড়া’র শামিল।
নেতৃবৃন্দ, বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রত্যাহার, কৃষি জমির ক্ষেত্রে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটির ব্যবধান রহিত করতে হবে, ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির উন্নয়ন কর মওকুফের সরকারি ঘোষণা, বাস্তবায়ন কর, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পর্যাপ্ত টি.আর, কাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্প চালুর জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।