Wednesday, December 25, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টবর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

DU_190415

বর্ষবরণ উৎসবে নারী লাঞ্ছনার বিচার ও ব্যর্থ-দায়িত্বহীন পুলিশ ও প্রশাসনের শাস্তির দাবিতে ১৯ এপ্রিল রবিবার, বেলা ১২টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাশেদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইভা মজুমদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি সুস্মিতা রায় সুপ্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী।

সুস্মিতা রায় সুপ্তি তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী লাঞ্ছনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণসহ বিভিন্ন জাতীয় উতসবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কনসার্ট ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে যে অপসংস্কৃতি ও ভোগবাদী সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে, নারীদের উপর যৌন হয়রানি, নারী লাঞ্ছনা তারই ফলাফল। তাই এরকম আয়োজন বন্ধ করে সুস্থ সংস্কৃতির প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, পরাধীন দেশে বাঙালি সংস্কৃতির উপর নিষেধাজ্ঞা ও আক্রমণ এর বিপরীতে সেই সময় পহেলা বৈশাখ সর্বজনীন উৎসব হিসেবে পালন শুরু হয়। বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উতসব পহেলা বৈশাখ। সেই সময় এই অনুষ্ঠান বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনাকে শাণিত করেছিল, সংস্কৃতির একটা উচ্চমান তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজ স্বাধীন দেশে বর্ষবরণ উতসবে নারীকে লাঞ্ছিত হতে হয়, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। পুরুষশাসিত সমাজে ভোগবাদী ও বৈষম্যমূলক উপাদান আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়, আমাদের সাহিত্য-নাটক-সিনেমায়। বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এসমস্ত কারণে যুব ও ছাত্র সমাজের রুচি-সংস্কৃতিগত মান, নৈতিক মান নেমে যাচ্ছে। নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছেনা। তাই তিনি দোষীদের অবিলম্বে বিচার ও ক্যাম্পাসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা বন্ধ ও বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামোর বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments