Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদবাংলাদেশকে ভারতীয় অস্ত্রের বাজারে পরিণত করা ও সামরিক তৎপরতায় জড়িত করা চলবে...

বাংলাদেশকে ভারতীয় অস্ত্রের বাজারে পরিণত করা ও সামরিক তৎপরতায় জড়িত করা চলবে না

839271iport

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরের সরকারী তৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ২৩ মার্চ ২০১৭ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশার্থে এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের অস্ত্র বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক-সামরিক পরিকল্পনার সাথে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। এদেশের সাধারণ মানুষের কোন স্বার্থ এতে নেই, ভারতের স্বার্থে ও ভারতের প্রস্তাবে এ চুক্তি হতে যাচ্ছে। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার স্বার্থে দেশের জন্য এক দীর্ঘস্থায়ী বিপদ ডেকে আনছে।”

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বিবৃতিতে আরো বলেন, “দেশের মধ্যে কোন আলোচনা না করে, অস্বচ্ছতা ও গোপনীয়তার মধ্যে তড়িঘড়ি করে যেভাবে এ সামরিক সহযোগিতা স্মারক হতে যাচ্ছে, তা জনমনে সন্দেহের উদ্রেক করেছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কারো ওপর নির্ভরশীলতা বা কারো সাথে বিরোধ চায় না, তারা মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবন চায়। ভারত, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া এসব সাম্রাজ্যবাদী দেশের আধিপত্য বিস্তার বা স্বার্থের সংঘাতে কোন পক্ষ নেয়া বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক।”

তিনি ভারতের সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, “ ভারত নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মালদ্বীপ ইত্যাদি দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এমনকি সামরিক আগ্রাসন পর্যন্ত চালিয়েছে। এসকল ঘটনা আমরা জানি। সেই ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে যাওয়া দেশের জন্য একটা আসন্ন বিপদবার্তা হিসেবেই গণ্য করা যায়। দেখা যাবে, দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষকেই এজন্য অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র নয়, পানি চায়। তিস্তার পানিবন্টনে কোন অগ্রগতি নেই, পদ্মায় ধূ-ধূ বালুচর, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সরিয়ে নেয়ার ফলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষের এ জীবন-মরণ সমস্যায় ভারত কোন ছাড় দিচ্ছে না। অথচ, আওয়ামী মহাজোট সরকার ভারতের সমর্থন পেতে স্বল্প শুল্কে ট্রানজিট, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ নানা একতরফা সুবিধা তাদের দিয়ে চলেছে।”

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এধরনের জনস্বার্থবিরোধী চুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি সরকারের এই পাঁয়তারার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হবার আহবান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments