বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সীমা দত্ত ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস এক যুক্ত বিবৃতিতে গত ১৭ মার্চ হবিগঞ্জ জেলার বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের মূল আসামী বাবুল মিয়া ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ-নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সেই সাথে অবিলম্বে ধর্ষণকারী-হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীনতার মাসে ধর্ষিতা বিউটির লাশ যেভাবে ধানক্ষেতের পাশে পড়ে ছিল, তা দেখে পার্থক্য করা যাচ্ছেনা এটা কি ’৭১ সালের মার্চ মাস নাকি আজকের বাংলাদেশ? পরাধীন দেশে লক্ষ লক্ষ নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানী সেনা ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা। কিন্তু আজ যখন দেশের নারীরা প্রতিদিন ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হচ্ছে তখন প্রশ্ন জাগে দেশ কী স্বাধীন? প্রথম দফা ধর্ষণের পর বিউটিকে রক্ষার জন্য তার বাবা মামলা করেছিল, মেয়ের নিরাপত্তার জন্য দূরে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের নির্বিকারত্বের জন্যই পার পেয়ে অপরাধীরা দি¦তীয়বারের মতো বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার সাহস পায়।। দায়িত্বরত পুলিশকেও তাই তদন্তের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এসব ধর্ষণ ও হত্যার বিচার করা হচ্ছেনা কার স্বার্থে? এসব ধর্ষণ ও হত্যাকারীরা সবসময় ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকে, ক্ষমতার রাজনৈতিক কাঠামোর সাথে এরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত বিধায় কখনো বিউটি-তনুদের বাবা-মায়েরা বিচার পায়না। দেশে আজ যখন চরম ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে তখন জনগনের অন্যান্য অধিকারের মতো নারীদের নিরাপত্তা-মর্যাদার অধিকারও চরমভাবে লংঘিত হচ্ছে। তাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার পথেই বিউটি-তনু সহ সকল ধর্ষণ-হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।