বাংলাদেশের সমাজতন্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে সিলেটে ‘যুক্তি’ পত্রিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান লেখক ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান এবং অবিলম্বে ঘাতকচক্রের গ্রেফতার এবং বিচার দাবি করেন।
১২ মে সংবাদমধ্যেমে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পুলিশের নাকের ডগায় বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। বন্যা আহমেদ গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। গত মাসে আশিকুর রহমান বাবু নামের একজন ব্লগারকে খুন করা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত পুলিশ অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা দূরে থাক, চিহ্নিত পর্যন্ত করতে পারেনি। বিচার নিয়ে সরকারি তালবাহানা চলতে চলতেই খুন হলেন অনন্ত বিজয় দাশ।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মুক্তচিন্তাবিরোধী উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি টার্গেট করে বারবার এ ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত করলেও এখনো পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারে প্রশাসনের ব্যর্থতা জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম দায়িত্বহীনতার সামিল। ফ্যাসিবাদী অগণতান্ত্রিক শাসন বহাল রেখে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বহাল রেখে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে না – এ ঘটনা আরেকবার সেটাই প্রমাণ করল।
বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র নিজেই যখন ক্রমাগত সমস্ত ধরনের গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি এমনকি ন্যূনতম আইনের শাসনকে লঙ্ঘন করতে থাকে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চর্চা করতে থাকে, তখন সমস্ত ধরনের অপশক্তি পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং গোটা সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত হয়।’ তিনি বাম গণতান্ত্রিক শক্তির নেতৃত্বে জানমালের নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
জবি-তে ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা, বিচার দাবি
বাংলাদেশের সমাজতন্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কার্য পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে আজ ১২ মে প্রগতিশীল ছাত্র জোট এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকে ছাত্র ধর্মঘট পালনকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, ১২ মে সকাল সোয়া আটটার দিকে ছাত্রলীগের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জবি শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কৃষ্ণ বর্মণ, সহ-সম্পাদক সমিত ভৌমিক ও অনিমেষ রায়কে আহত করে।