জনগণের অব্যাহত প্রতিবাদ উপেক্ষা করে লুটেরা বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাসদ ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও তোপখানা রোডে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ মহানগর শাখার নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বেলাল চৌধুরী, মর্জিনা খাতুন, উপস্থিত ছিলেন মনজুরা হক, সীমা দত্ত প্রমুখ। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন-বায়তুল মোকাররম-গুলিস্তান এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসা এ সরকার অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামীতেও যে গণবিরোধী শাসন চালাবে তার লক্ষণ ফুটে উঠেছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। বিদ্যুৎখাতে বিপুল লোকসানের জন্য দায়ী বেসরকারি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ করার পরিবর্তে এদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই প্ল্যান্টগুলোর মালিক বিদ্যুৎব্যবসায়ীদের মুনাফা যোগাতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন – বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ায় দাম বাড়াতে হচ্ছে, অথচ কেন উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে তা বললেন না। বরং তিনি জনগণের সাথে নিষ্ঠুর বিদ্রুপ করে উপদেশ দিয়েছেন যে – বিদ্যুৎ অপচয় কমালে দাম বাড়লেও তাদের খরচ বাড়বে না। অন্যদিকে, গ্যাসখাতে লোকসান হচ্ছে বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তির শর্তমতে তাদের কাছ থেকে বেশি দামে গ্যাস কেনার কারণে। এসব অসম চুক্তি বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে গ্যাস উত্তোলনের পরিবর্তে শেখ হাসিনা সরকার নতুন করে আরো কঠিন শর্তে ভারতীয় কোম্পানিকে বঙ্গোপসাগরে দুটি গ্যাসব্লক এবং অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের দুটি কোম্পানিকে একটি গ্যাসব্লক বরাদ্দ দিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসখাতে দুর্নীতি-লুটপাট ও বেসরকারিকরণ নীতির কারণেই এসব অত্যাবশ্যকীয় গণপণ্যের দাম বাড়ছে। সমাবেশ থেকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।