বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপ, ও টিয়ার শেল মেরে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বিবৃতিতে বলেন, “তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি হস্তান্তরের উদেশ্যে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল কর্মসূচীতে পুলিশ হামলা চালিয়ে জাতীয় কমিটির অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করে। দেশের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন ধ্বংস করতে সরকার জনসাধারনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সকল মতামত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ভারতের এনটিপিসি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভয়াবহতা তুলে ধরে সারাদেশের মানুষের মধ্যে মতামত তৈরী করে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু মহাজোট সরকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে দেশের স্বার্থ সম্পূর্ণ জলাঞ্জলী দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় সদা তৎপর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মধ্যে যেন কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে এই জন্য সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ সকল প্রতিবাদ কর্মসূচী দমন করছে।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন,“জনগণের এধরণের গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা সরকারের ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপেরই অংশ। আজ পুলিশ প্রশাসন সরকারের দলীয় আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনি অবিলম্বে হামলায় জড়িত দায়ি পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন এবং দেশের সচেতন জনসাধারণকে সুন্দরবন ধ্বংসসহ মহাজোট সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।”