গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী ও মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হেসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াসিন মিঞা ও মহিনউদ্দিন লিটন এক যুক্ত বিবৃতিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল কর্মসূচীতে জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপ, ও টিয়ার শেল মেরে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, “তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি হস্তান্তরের উদেশ্যে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল কর্মসূচীতে পুলিশ হামলা চালিয়ে জাতীয় কমিটির অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করে। এর আগে গত জুলাই মাসে জাতীয় কমিটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কমসূচীীতেও পুলিশ ন্যক্কারজনক ভাবে হামলা চালিয়েছিল। দেশের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন ধ্বংস করতে সরকার জনসাধারনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সকল মতামত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ভারতের এনটিপিসি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। মহাজোট সরকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে দেশের স্বার্থ সম্পূর্ণ জলাঞ্জলী দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় সদা তৎপর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মধ্যে যেন কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে এই জন্য সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ সকল প্রতিবাদ কর্মসূচী দমন করছে।”
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলায় জড়িত দায়ি পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন এবং দেশের সচেতন জনসাধারণকে সুন্দরবন ধ্বংসসহ মহাজোট সরকারের জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।