Saturday, November 23, 2024
Homeফিচারভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য প্রাণঘাতী

ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য প্রাণঘাতী

Indian_river_linking_projectভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য একটি প্রাণঘাতী প্রকল্প। সম্প্রতি বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথে আবার এই প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার এর মধ্যকার তিস্তা-গঙ্গা-মানস-সঙ্কোষ নদীসমূহের সংযোগ প্রকল্প নিয়ে ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রী সানোয়ার লাল জাট সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারগুলোর সাথে শীঘ্র আলোচনা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় তিস্তা-গঙ্গা-মানস-সঙ্কোষ নদীসমূহের পানি সংযোগ খালের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। এর ফলে কৃষিনির্ভর একটি দেশের অর্থনীতি যা সম্পূর্ণভাবে নদীর উপর নির্ভরশীল তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। ভারত সরকার ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার কোন গুরুত্ব না দিয়েই এতবড় প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা ভাবছে। ভাটির দেশের কোন একটি দেশের সাথে আলাপ আলোচনা না করে উজানে নদী সংক্রান্ত পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও নদী আইনের পরিপূর্ণ লঙ্ঘন। পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থায় ভারতের দক্ষিণ এশিয়ার আধিপত্যবাদী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ প্রকল্পের তিস্তা-গঙ্গা-মানস-সঙ্কোষ অংশ নিয়ে আগেভাগে তৎপরতা চালাচ্ছে।

একটি দেশের ভৌগলিক অবস্থান যদি ভাটি অঞ্চলে হয়ে থাকে তবে নদী যে কত বিপত্তি নিয়ে আসতে পারে তা বাংলাদেশের জনগণের বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞের দারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই। বর্ষা মৌসুম তাদের জীবন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। সরকারি চাকুরে ও কথিত নদী ও পানি বিশেষজ্ঞরা বোধ করি কিছু অভিজ্ঞতার জন্য জনমানুষের দারস্থ হতে পারেন। সম্প্রতি আমরা দেখেছি ফেনী নদীর পানি বেড়ে উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতি জনসাধারণ মোকাবেলা করছে। এদিকে আবার খবরে প্রকাশিত হয়েছে যে তিস্তা নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দক্ষিণের জেলা ও উপকূলীয় অঞ্চলের পর এবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো প্লাবিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির এই যে মারাত্মক অবস্থা যার ফলে গোটা দেশটি একটি জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে তার পিছনে বিভিন্ন কারণ বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে এর মধ্যে প্রকটতর সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াপদা, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেচ্ছাচার বাঁধ নির্মাণ। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন একর এবং যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বাঁধ দিয়ে ০.৫৮ মিলিয়ন একর জমিতে পানি ঢোকা সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে। সুতরাং ৪.১৮ মিলিয়ন একর পানি ঢুকতে বাধা পায়। এর ফলে নদীগুলোতে পলি পড়ে নদী ভরাট হওয়ার কারণে পাহাড়ের বরফ গলা পানি, অতি বৃষ্টি আর উজানের বাঁধ ভাঙা পানি নদী পথে প্রবাহিত হওয়ার পথ না পেয়ে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। গত এক দশকে সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর ওপর যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে তার শতকরা নব্বই ভাগ ঘটেছে বাংলাদেশের উপর। এডিবির হিসাব মতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, দাবদাহ প্রভৃতির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে চাল, গম ও আলুর উৎপাদন বর্তমান সময়ের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ কমে যেতে পারে। এটি খাদ্যনিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে।

এবার আসা যাক ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পে। পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদার নিরিখে পানি একটি প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ, মৌলিক চাহিদা এবং মূল্যবান জাতীয় সম্পদ বিবেচনায় ভারত সরকার একটি জাতীয় পানি নীতি প্রণয়ন করেছে। ভারতের পানি উন্নয়ন সংস্থা ভারতের নদীসমূহের সংযোগ ঘটানোর প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাবটিই আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প হিসাবে পরিচিত। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল পশ্চিম এবং দক্ষিণের রাজ্যসমূহে পানির সংকট মেটানো যা ৩০টি প্রধান নদীর মধ্যে সংযোগ ঘটাবে। এছাড়া এতে ভারতের দুটি বৃহত্তম নদী গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রবাহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রস্তাবও রয়েছে। স্বভাবতই বাংলাদেশের মানুষ এই অদ্ভুত সর্বনাশা প্রকল্পে বিক্ষুব্ধ ও ভীত কারণ বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ মিঠা পানির উৎস গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র যা ভিন্ন খাতে ভারতে প্রবাহিত হলে বাংলাদেশের পরিবেশ একেবারেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু একটু দেখা যাক যে, ভারতে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উত্থাপিত ইস্যু ও চ্যালেঞ্জসমূহ কি।
ভারতের জাতীয় পানি উন্নয়ন সংস্থা পরিকল্পনা করেছে ৬০০টি খাল এবং শত শত জলাধার নির্মান করে পানি সংরক্ষণ করবে। কিন্তু ভারতীয় বিশেষজ্ঞগণ ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন এই বলে যে, নদী থেকে যে পানি সমুদ্রে প্রবাহিত হয় সেটি কোনো অতিরিক্ত অথবা অপ্রয়োজনীয় পানি নয়। এটি বরং পানি-চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। এই সংযোগ তিরোহিত হলে সমুদ্র ও স্থলভাগ, মিঠা ও লোনা পানির মধ্যে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষজ্ঞগণ এটিকে গণ্য করছে নদীর ধর্মের পক্ষের নয় বরঞ্চ বিপরীতধর্মী প্রকল্প হিসাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ ধরা হয়েছে ১২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও জলাধার, খাল, ক্যাপটিভ ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রভৃতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশাল খরচের বোঝা ভারতীয় জনগণের উপর চাপবে যার জন্য দেশটি ঋণের জালে আবদ্ধ হবে, সামাজিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে হাজার হাজার জনসাধারণ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ হবে এবং বনভূমি, আবাদি ও অনাবাদি জমি জলাভূমিতে পরিণত হবে। নানা ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করারও বিষয় রয়েছে। এটি সত্যিই খুব মজার ব্যাপার যে, ভারতীয় সংসদে পানি উন্নয়ন মন্ত্রী জানান যে, ভারতীয় পানি উন্নয়ন এজেন্সি ফেব্রুয়ারির ২০১২ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের বিভিন্ন অনুসন্ধানে কাজে লাগিয়েছে ৩৫০.৫ কোটি টাকা কিন্তু তখনও তারা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনের সারটিফাইড কপি পাননি। ভারতের কেন্দ্রিয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই এই প্রকল্প অননুমোদন করেছে। ভারতের কোনো একটি রাজ্য অপর কোনো রাজ্যকে পানি দিতে রাজি নয়। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী পানির বিষয়ে পরিপূর্ণ অধিকার রাজ্যের। কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, আসাম, সিকিম প্রভৃতি রাষ্ট্র ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। পরিবেশের যে বিপত্তিগুলো বিশেষজ্ঞগণদের ভাবিয়ে তুলছে সেগুলো হলো জমি ও বনভূমির জলমগ্নতা, নদী, জলাভূমি আর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, ভাটি অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক প্রভাব, মৎস সম্পদ ধ্বংস, লোনাপানির ব্যাপক অনুপ্রবেশ, পরিবেশ দূষণের তীব্রতা বৃদ্ধি, ভূগর্ভস্থ পানির অবনমন, জলাধারে মিথেন নির্গমন বৃদ্ধি। এক সমীক্ষায় বলা হয় যে, বিগত পঞ্চাশ বছরে পাঁচ কোটি মানুষ ভারতে ড্যাম, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হাইওয়ে, এবং অপরাপর অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে নিজ আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। এর মধ্যে খুব অল্প কিছু মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কারণে আরও ব্যাপক মানুষ গৃহচ্যুত হবে।

এবার একটু দেখে নেয়া যাক, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনের চিত্র। এটি প্রায় ১.৭ মিলিয়ন বর্গ কি.মি. স্থান জুড়ে যা ভারতে ৬৪ শতাংশ, চীনে ১৮ শতাংশ, নেপালে ৯ শতাংশ, বাংলাদেশে ৭ শতাংশ এবং ভূটানে ৩ শতাংশ। নেপাল সম্পূর্ণভাবে গঙ্গা তীরবর্তী এবং ভূটান ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী হওয়ায় এই দেশদুটির অর্থনীতি সরাসরি এই দুটি বড় নদীর ্পর নির্ভরশীল। আবার গঙ্গা ও বহ্মপুত্র নদীর উৎপত্তিস্থল চীনের হিমালয় পর্বতমালা। এই সকল বিশাল নদীর অববাহিকা বিচিত্র হওয়া সত্ত্বেও এর সবগুলোর সংযোগস্থল বাংলাদেশ এবং তা মেঘনা নদীর সাথে মিলে কয়েক শতক কি.মি. দূরবর্তী বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়। এই তিনটি নদীরই আবার বহু শাখা ও উপশাখা রয়েছে যার সাথে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মানুষের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমাজান এবং কঙ্গো অববাহিকার পর গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকা তৃতীয় বৃহৎ মিঠা পানির উৎস যা সাগরে মিলেছে। বাংলাদেশ নির্মিত হয়েছে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী বাহিত পলি মাটি দিয়ে।

ধারণা করা হয় যে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনের জনবসতি কমপক্ষে ৬৩০ মিলিয়ন যেটি আফ্রিকার জনসংখ্যার তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ কিন্তু আফ্র্রিকার আয়তন গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনের তুলনায় ১৮ গুণ। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনে জনবসতির ঘনত্ব চীন, ভূটান, নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কি.মি. এ যথাক্রমে ৬, ১৮, ১৯৫, ৪৩২ এবং ১০১৩। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনে পৃথিবীর দরিদ্র মানুষদের বসবাস। কিন্তু নদীর মত এত শক্তিশালী প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার পরও এটিকে এই অঞ্চলের উন্নয়নে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কোন সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো সম্ভব না হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয় এবং কখনও ঘোরতর বিপর্যয় নিয়ে আসে। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে প্রতি সেকেন্ডে ১৩৮৭০০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়। এটি সমুদ্রে একটি একক নদীর প্রবাহ হিসাবে বৃহত্তম, এমনকি তা আমাজানের চেয়েও ১.৫ গুণ বেশী। ভূগর্ভস্থ পানির উপরও এসকল নদীর বিশাল প্রভাব রয়েছে।

ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প ভারতের জনসাধারণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। বরং এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে ভারতের মানচিত্র আবার নতুন করে আঁকার সর্বনাশা প্রচেষ্টা চলছে। তেমনি এ প্রকল্পে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার দেশগুলোর স্বার্থের কোনো তোয়াক্কাই করছে না। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কনভেনশন মেনে আলাপ আলোচনার কোন পরিবেশ সৃষ্টি না করে ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈরি মনোভাবের প্রকাশ ঘটাচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে একটি দেশের লাইফ-লাইন হল তার নদী। বাংলাদেশে প্রবাহমান প্রায় ৫৪টি নদীতে ভারত ইতিমধ্যে বাঁধ দিয়ে জনজীবনে যে বিপত্তি তা প্রতিটি মৌসুমে ভাটি অঞ্চলে অবস্থিত বলে বাংলাদেশের মানুষ অনুভব করে। খরা মৌসুমে তীব্র পানির সংকটে নদীর পানি শুকিয়ে হাহাকার অবস্থার সৃষ্টি হয় আর বন্যা মৌসুমে গোটা দেশের ফসলের ক্ষেত ডুবে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়, বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষের ভূত-ভবিষ্যত-বর্তমান। আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে যদি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা বেসিনের পানি সরিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয় তবে বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ডই কার্যত ভেঙে যাবে। এ চক্রান্ত যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার জন্য সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সাম্যবাদ – সেপ্টেম্বর ২০১৫

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments