Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্ত

ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্ত

antonodi (4) (1)
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত কতৃক আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের নামে বাংলাদেশকে মরুভূমি করার চক্রান্তের প্রতিবাদে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ (মার্কসবাদী) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড মহির উদ্দিন আহমেদ মহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, জল-পরিবেশ ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান ম. ইনামুল হক, রিভারাইন পিপল এর মহাসচিব শেখ রোকন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আ ক ম জহিরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, দৈনিক প্রথম আলো কুড়িগ্রাম প্রতিনিধী শফি খান, সলিডারিটি কুড়িগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশিদ লাল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সাবেক সভাপতি কামরুল আহসান খান, শিক্ষক আখতারুজ্জামান আখতার, ইসমাইল হোসেন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র রৌমারির সংগঠক মহির উদ্দিন মহি, রাজারহাট উপজেলার সংগঠক জিয়াউর রহমান। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন স্বপন রায়।

মতবিনিময় সভা থেকে ভারত কতৃক নদীর পানি প্রত্যাহার ও সরকারের নতজানু নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান  জানিয়ে বলা হয়, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লংঘন। যেসব নদী দুই বা ততোধিক দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাদের বলা হয় আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের ৫৪টি নদী ভারত থেকে এবং ৩টি এসেছে মায়ানমার থেকে। অভিন্ন নদীর পানি ব্যবহার সংক্রান্ত ১৯৬৬ সালের হেলসিংকি নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত রাষ্ট্র অভিন্ন নদীগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজন বিবেচনায় নেবে। ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘের জলপ্রবাহ কনভেনশন অনুযায়ী প্রণিত আইনে বলা হয়েছে, নদীকে এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না, যাতে অন্য দেশ মারাত্মক ক্ষতি বা বিপদের মুখে পড়ে। এসব আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আইনের তোয়াক্কা না করে ভারত একতরফাভাবে নদীসংযোগ পরিকল্পনা অগ্রসর করছে।দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট, রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্ত ক্ষেত্রগুলোতে ভারত আধিপত্য বিস্তার করে আছে। অথচ পানি সম্পদের ন্যায্য অধিকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে সরকার যথার্থ দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি। তা না হলে এতদিনেও আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট, জোরালো কোনও প্রতিবাদ দৃশ্যমান হলো না কেন? খোদ ভারতেই বড় বড় পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা প্রকল্পটির বিরোধিতা করছেন। আর আমরা যেন ‘দেখা যাক’ এই ভেবে বসে অপেক্ষা করছি। নদীবাহিত পলি দিয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। শরীরে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে যেমন মানুষের মৃত্যু ঘটে, তেমনি নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে বা বাঁধাগ্রস্ত হলে ভূ-খন্ডের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ধীরে ধীরে সেটাই হচ্ছে। সে কারণে একসময়ের ১২০০ নদীর দেশে এখন মাত্র ২৩০টি নদী। এক ফারাক্কা বাঁধই দেশের মানচিত্র থেকে মুঁছে দিয়েছে ২০টি নদী।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments