Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদভারতের পানি আগ্রাসন ও সরকারের নতজানু নীতি রুখে দাঁড়ান : রংপুরে বাম...

ভারতের পানি আগ্রাসন ও সরকারের নতজানু নীতি রুখে দাঁড়ান : রংপুরে বাম মোর্চার জনসভা

বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেছেন, সকল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি লঙ্ঘন করে ভারত কর্তৃক উজানে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী তিস্তা ভয়াবহ পানি সংকটে বিপর্যস্ত। পানির অভাবে ১২টি উপজেলার কৃষি চরম বিপর্যয়ের মুখে। চাষীরা সেচ দিতে না পেরে হাহাকার করছে, হাজার হাজার মৎস্যজীবী ও মাঝি পরিবার বেকার। মরুকরণ ও আর্সেনিক ঝুঁকিতে নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষ। তিনি গত ১২ মে বিকেল ৫টায় রংপুর সদর উপজেলার গঞ্জিপুর হাইস্কুল মাঠে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা রংপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় এ কথাগুলো বলেন।

গঞ্জিপুর হাইস্কুল মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী
গঞ্জিপুর হাইস্কুল মাঠের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী

বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি রংপুর জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বাম মোর্চার জনসভায় আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কমরেড অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কমরেড ফিরোজ আহম্মেদ, বাসদ রংপুর জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ছাবেদ আলী, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের চাহিদা ও সুবিধা অনুযায়ী ট্রানজিট-করিডোর, রামপালে সুন্দরবন বিনাশী বিদ্যুৎপ্রকল্পসহ প্রায় সমস্ত কিছু দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর উপর ন্যায্য হিস্যা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি, পারেনি সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যাসহ কোনো সমস্যারই স্থায়ী সমাধান করতে। স্বাধীনতার ৪২ বছরেও কোনো সরকার তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে দৃঢ় ও পরিষ্কার অবস্থান নেয়নি, নিতে পারেনি। তিনি ভারতের পানি আগ্রাসন ও নতজানু নীতির বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

জনসভা থেকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলহানি ও ক্ষতির জন্য ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, বেকার ক্ষেতমজুরদের জন্য ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু ও অন্তত আমন মৌসুম পর্যন্ত আর্মিদরে রেশনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। একই সাথে নেতৃবৃন্দ তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দাবিতে আগামী ২৩ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় কনভেনশন সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

নীলফামারীর ডিমলায় জনসভা

একই ইস্যুতে গত ১৩ মে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে ডিমলার কাউসার মোড় সংলগ্ন শহীদ মিনারে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি নীলফামারী জেলা শাখার সংগঠক কমরেড আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তৃতা করেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ফিরোজ আহম্মেদ, বাসদ রংপুর জেলা কমিটির সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু, বাসদ ডিমলা উপজেলা সমন্বয়ক ডা. রবীন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ মে দিনাজপুরের পাকেরহাট ও ১৫ মে নীলফামারীর সৈয়দপুরে একই ইস্যুতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments