বাসদ (মার্কসবাদী) ঢাকা নগর শাখার উদ্যোগে ৭ অক্টোবর ২০১৯ বিকাল ৫ টায় ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদিত অসম চুক্তির বিরোধিতা করে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে পল্টন, জিপিও, বায়তুল মোকাররম, বিজয়নগর,সেগুনবাগিচা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। পুরান পল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ঢাকা নগর ইনচার্জ নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী,ঢাকা নগর সদস্য সীমা দত্ত, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পাদিত ৭ টি চুক্তিই ভারতের শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থেই সম্পাদিত হয়েছে। তিস্তার পানির নায্য হিস্যা, বাণিজ্য ঘাটতি নিরসন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনসহ, এনআরসি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাঝোতার প্রত্যাশা এদেশের জনগণের ছিল। কিন্তু এ সমস্ত ব্যাপারে কোনো সুরাহা করা হয় নি। এমনকি বেশিরভাগ বিষয় নিয়ে আলোচনাও করা হয় নি। উপরন্তু এলএনজি গ্যাস রপ্তানি, ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার, স্থল বন্দর ব্যবহার, সমুদ্র উপকূলে রাডার বসানোর চুক্তি করা হয়েছে। যা আমাদের দেশের স্বার্থকে নানাভাবে বিপন্ন করবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত এর সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা বলা হলেও বাংলাদেশের স্বার্থ সবসময়ই ক্ষুণœ হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর নতজানু পররাষ্ট্র নীতিই এর জন্য দায়ী। আর বর্তমানে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত অবৈধ সরকারের প্রয়োজন ভারতের শাসকগোষ্ঠীর নিরুঙ্কুশ সমর্থন। যার কারণে এই সরকার দেশবিরোধী নানা চুক্তি ভারতের সাথে সম্পাদিত করছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভারত সরকারের এই আগ্রাসী নীতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধীতার নামে সাম্প্রদায়িক মনন তৈরির নানা ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। একটা কথা কখনো ভুলে গেলে চলবে না ভারতের জনগণ আর ভারতের শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র কখনো এক নয়। যেমন করে আমাদের শাসকগোষ্ঠী ও জনগণের চরিত্র এক নয়।
নেতৃবৃন্দ জনগণকে ভারত সরকারের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।