শ্রমিকদের বাঁচার আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করুন
গার্মেন্ট শ্রমিক সুমন হত্যার প্রতিবাদে ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের বাঁচার মত ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধিতে ১০ জানুয়ারি বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হত্যা নির্যাতন করে শ্রমিকদের বাঁচার আন্দোলন নস্যাৎ করা যাবে না; শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ শেষ রক্ষা করতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি আর জালিয়াতির মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার মালিকদের মত শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে সকল ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে চায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য শ্রমিকশ্রেণিসহ জনগণের ভোটের আর দরকার না থাকায় তারা এমন চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীতা অব্যাহত রেখেছে। কেবল প্রতিপক্ষের মার্কায় ভোট দেবার জন্য নারীকে ধর্ষিতা হতে হয়। জনগণকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শ্রমিক সমুন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, আহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের উপযুক্ত চিকিৎসা এবং সর্বোপরি গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে যে প্রতারণা চলছে তা বন্ধ করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ কোন তালবাহানা না করে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি অনতিবিলম্বে পরিশোধের জন্যেও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে যে বেতন ও বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ প্রতি বছর ৫% হারে বেতন বৃদ্ধি হলে শ্রমিকদের অনেক বেশি টাকা পাওয়ার কথা। তাই ন্যূনতম বেতন ও বিভিন্ন গ্রেডের বেতন পুনঃনির্ধারণ ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন মানুষের ভাতের অধিকারও কেড়ে নিতে চায়। সে কারণে বাঁচার দাবিতে স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনে সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নেতৃবৃন্দ সরকার ও মালিকদের এই স্বৈরতান্ত্রিক তৎপরতা প্রতিরোধ করে শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাম জোট ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন এগিয়ে নেবে।
বাম জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মোশাররফ হোসেন নান্নু, তাসলিমা আকতার, মমিনুর রহমান মমিন প্রমুখ।
সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন।