Thursday, December 26, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদমহাসড়কে বস্তা বস্তা ধান ফেলে ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের প্রতিবাদ

মহাসড়কে বস্তা বস্তা ধান ফেলে ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের প্রতিবাদ

13346160_790142584420672_3509438010758709747_o

মহাসড়কে বস্তা বস্তা ধান ফেলে সরকারের গণবিরোধী অবস্থানের প্রতিবাদ জানালো ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা। এ বছর কৃষকদের প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮৫০-৯০০ টাকা অথচ বাজারে প্রতি মণ ধানের মূল্য ৩৫০-৪০০ টাকা। ফলে কৃষক ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ পর্যন্ত তুলতে পারছে না। সরকার মণ প্রতি ধানের মূল্য ৯২০ টাকা ঘোষণা করলেও তা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। প্রতি বছর কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে কৃষক। নির্বিকার শাসকগোষ্ঠীকে ধিক্কার জানাতে বাসদ (মার্কসবাদী) এবং সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের নিয়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।৩১ মে সকাল ১১টায় রংপুর নগরীর সাতমাথায় সমবেত হয় ভূক্তভোগী কৃষক ও ক্ষেতমজুররা। সেখানে বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক এবং সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা আহবায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু’র সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, কৃষক প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক, এমদাদুল হক বাবু, ওজিউল্লাহ্ মিয়া, নুর ইসলাম প্রমুখ।

13317069_790140681087529_7106012564509858646_oসমাবেশে বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক এবং সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা আহবায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, কৃষক বাম্পার ফসল ফলানোর পরেও উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে সর্বশান্ত হচ্ছে। এখানে মুনাফাখোর মধ্যসত্ত্বভোগী, ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে আর ক্রমাগত লোকসানের শিকার হয়ে কৃষকের পথে বসার উপক্রম। ফলে এই কৃষকদের বাঁচাতে সরকারকে উৎপাদন খরচের সাথে ৩৩% মূল্য সহায়তা দিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। সেই সাথে কৃষি প্রধান রংপুর অঞ্চলে বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রত্যাহার করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্থ ও বিক্ষুদ্ধ কৃষক আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক বলেন, সরকার শিল্পপতি-পুঁজিপতিদের সকল অন্যায্য সুবিধা দিতে পারে, কিন্তু কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দিতে পারে না। আমরা উৎপাদনের সময় সরকারি কোন সহায়তা পাই না। আমাদের উৎপাদন খরচ প্রতি বছর বাড়ছে। অথচ প্রতি মৌসুমে আমাদের ফসল বিক্রি করে লোকসানের শিকার হতে হচ্ছে। তাহলে আমরা বাঁচবো কিভাবে?

কৃষক এমদাদুল হক বাবু বলেন, ১ মণ ধান বিক্রি করে ১টা লুঙ্গি কেনার টাকা যোগাড় করতে পারি না। ফসল উৎপাদন করা কি আমাদের অপরাধ? যদি তাই না হয় তাহলে কেন আমরা রক্ত পানি করেও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সরকার ঘোষিত ৯২০টাকা মণদরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় এবং বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সেইসাথে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের পুঁজিবাদি শোষণ-দুঃশাসন থেকে বাঁচতে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments