২৭ নভেম্বর ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদের ভাড়াটে গুণ্ডাদের গুলিতে শহীদ ডা. মিলনের ২৩তম মৃত্যবার্ষিকী। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ডা. মিলন দিবসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে তাঁর সমাধিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মোড়ে ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। সকাল ৮টায় বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হকের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, জোনায়েদ সাকী, শহীদুল সবুজ, মহিনউদ্দিন লিটন, বেলাল চৌধুরি প্রমুখ।
এসময় বক্তৃতায় সাইফুল হক বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন দমন করতে এরশাদ ডা. মিলনের মত অসংখ্য মানুষকে হত্যা করলেও তার বিচার হয়নি, উপরন্তু ভোটের রাজনীতিতে সুবিধা আদায় করতে ’৯০ এর পর ক্ষমতাসীন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলই তাকে পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। আর গণবিচ্ছিন্ন বর্তমান মহাজোট সরকার একতরফা নির্বাচনে সমর্থন আদায় করতে এরশাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য যে নাটকের জন্ম দিয়েছে তা গণতান্ত্রিক চেতনাকে কলংকিত করেছে। তিনি আরো বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মহাজোট ও সরকার গঠন করেছে, বিএনপিও চারদলীয় জোটে তাকে নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সবাই ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকারী রাজনৈতিক দল বলেই তাদের মধ্যে এই নীতিহীন ঐক্য সম্ভব। এই ঘটনা প্রমাণ করে আজকের দিনে বুর্জোয়া দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করতে পারে না। সাইফুল হক বলেন, নীতিহীন ও লুটপাটের দ্বিদলীয় রাজনীতি প্রত্যখ্যান করে বামপন্থীদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে অগ্রসর করার পথেই ডা. মিলনের চেতনা বাস্তবায়ন হতে পারে।
ডা. মিলন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে শহীদ ডা. মিলন দিবসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডা. মিলনের সমাধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে ডা. মিলনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে মিলন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, সাইফুজ্জামান সাকন, বেলাল চৌধুরী, কল্যাণ দত্ত প্রমুখ। এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকেও মিলনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।