বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যেগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর কর্তৃক মুনিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক নাঈমা খালেদ মনিকা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড ও অন্যান্য প্রাপ্ত নমুনা থেকে এটা স্পষ্ট গুলশানে ছাত্রীর মৃত্যুর জন্য সায়েম সোবহান আনভীর দায়ী। অথচ মিডিয়া থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন কর্তাব্যক্তিরা সায়েম সোবহান আনভীরকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছে। এর আগে আমরা দেখেছি আপন জুয়েলার্স-এর মালিকের ছেলে ধর্ষক শাফাতকে জামিন দেয়া হয়েছে। ফলে, সায়েম সোবহানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা এমন একটা সমাজে বসবাস করছি যেখানে প্রতিয়িত সায়েম সোবহান আনভীরদের মতো লম্পটের জন্ম হচ্ছে । সমাজের একটা পঁচাগন্ধময় রূপ এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বেড়িয়ে আসলো। সায়েম সোবহান আনভীরদের এই লাম্পট্য উচ্ছৃঙ্খলতার পেছনে যেমন ব্যক্তির ভূমিকা থাকে তেমনি ব্যক্তি যেহেতু সমাজের বাইরের কেউ না; তাই এই সমাজব্যবস্থাকেও আমাদের কাঠগরায় দাঁড় করাতে হবে। আজকের দিনে এই সমাজব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পুঁজিবাদী আর্থসামাজিক ব্যবস্থা। গত ৫০ বছরে এই ব্যবস্থাকে চালিয়ে নিয়েছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত। গত ১২ বছর ধরে আওয়ামীলীগ গায়ের জোরে, রাতের আঁধারে ভোটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের এই ক্ষমতায় থাকার পদ্ধতি পুজিপতিদের তোয়াজ করা এবং তাদের লুটপাট, চুরি, দুর্নীতির পৃষ্টপোষকতা করা। বসুন্ধরা গ্রুপ হলো এই রকম পুঁজিবাদী বিগ বিজনেস হাউজ। সায়েম সোবহান আনভীররা হলো এই রকম বিজনেস হাউজের মালিক। ফলে আওয়ামী লীগের সাথে এই ধরণের মানুষদের সম্পর্ক কেমন হবে তা গত দুই দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সায়েম সোবহান-এর ছবির মধ্য দিয়ে বোঝা যায়। বাংলাদেশের রাজনীতি, সায়েম সোবহান, কপোর্রেট প্রতিষ্ঠান, নীতি—নৈতিকতার অবক্ষয়, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গুম, খুন সবই আজ একাকার হয়ে গেছে। তাই এই ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ আজ সময়ের দাবি।