যথাযোগ্য মর্যাদায় রক্তস্নাত ২০ মে ‘মুল্লুক চল আন্দোলন’-এর ১০১তম বার্ষিকী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এর প্রত্যেক চা বাগানে সকাল ৮টায় অস্থায়ী শহীদ বেদী নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল যে চাঁদপুর জেলায় সেখানেও বড় স্টেশন (পুরনো স্টীমার ঘাট) অস্থায়ী শহীদ বেদী নির্মাণ করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সিলেটের লাক্কাতুরা, মালনীছড়া, দলদলি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া, ছড়াগাঙ, খান চা বাগানসহ প্রত্যেক চা বাগানে সকাল ৮টায় অস্থায়ী শহীদ বেদী নির্মাণ করে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিকাল ৩টায় নগর ভবন পয়েন্ট থেকে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার, দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা সহ ১০ দফা দাবিতে একটি সুসজ্জিত র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ-এর সাহিত্য আসর কক্ষে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড জহিরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন এডভোকেট, চা শ্রমিক ফেডারেশন-এর উপদেষ্টা কমরেড উজ্জ্বল রায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক সজল ছত্রী, শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন-এর সিলেট জেলা আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লাক্কাতুরা চা বাগান এর হৃদয় লোহার,বন্যা বাহাদুর,ছড়াগাঙ্গ চা বাগান-এর খোকন ছত্রী, খান চা বাগান-এর গীতা ওরাং,মালনীছড়া চা বাগান-এর নমিতা রায়, হিলুয়াছড়া চা বাগান-এর রবি মাল, কেওয়াছড়া চা বাগান-এর সঞ্জীব, দলদলি চা বাগান-এর হরি দাস প্রমুখ।