তনুসহ সকল হত্যা-ধর্ষনের বিচারের দাবিতে ২৩ জুলাই সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে অবস্থান কর্মসুচি ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক কামরুন্নাহার খানম শিখার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু, নারীমুক্তি কেন্দ্রের সদস্য নন্দিনী দাস, রিনা আক্তার, শাপলা রায়, ফাহমিদা আহমেদ প্রিয়াংকা, চন্দনা রায়।
বক্তারা বলেন, একের পর এক হত্যা-খুন-নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় রাষ্ট্র নির্যাতক খুনিদের প্রশ্রয় যোগাচ্ছে। রাষ্ট্র কোন ধরনের ঘটনা ঘটলে তার সুষ্ঠু তদন্ত না করে যে নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাকেই দোষারোপ করা হচ্ছে। তার পোষাক নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। যেন এখানে যে ধর্ষণ করলো তার কোন দোষ নেই। এই সুযোগে কাজে লাগিয়ে নারী নির্যাতনকারী পার পেয়ে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিচার হচ্ছে না।
গোটা নারী সমাজ যখন সম্পত্তিসহ সর্বক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে জোরদার করছে তখন মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তি তার বিরোধিতা করছে। আবার বর্ষবরণসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহনের বিরোধিতা করছে তারা। নারী যখন ভয়াবহ আক্রমনের শিকার হয়েছে তখন তারা ধর্ষকের বিচার না চেয়ে নারীর পোষাককে দায়ি করেছে। তারা বলে নারীরা ধর্ম মেনে চললে, পর্দা করলে এ পরিস্থিতি হত না। অন্যদিকে সারাদেশে যেখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে, হামলা হচ্ছে সেখানেও নারীদের নৃসংশভাবে নির্যাতন ও খুন করা হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, রামমোহন-বিদ্যাসাগর-রোকেয়া-প্রীতিলতার সংগ্রামী চেতনা ধারণ করুন সংগ্রামে এগিয়ে আসুন, সহযোগিতা করুন, মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্বের ঝান্ডা উর্ধ্বে তুলে ধরুন। ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নৈতিক দিক থেকে প্রতিরোধের শক্তিকে জোরদার করুন। অপরাধী ও তাদের মদদদাতাদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিন।