২০২২ ভুমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন রংপুরের উদ্যোগে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন, আর্মি রেটে রেশন প্রদান এবং দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতি হ্রাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩০ মে রংপুরের গুপ্তপাড়া বুদুবাবুর মাঠ থেকে দেড় সহস্রাধিক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের একটি বিশাল মিছিল বের হয়। এরা সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাওয়া মানুষ। এখন ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে রংপুরের ৩৩টি ওয়ার্ডে উদ্বাস্তুর মতো আছেন। বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা শাখার সংগঠকরা এদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। দলের সংগঠকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে তারা গড়ে তুলেছেন সংগ্রাম কমিটি ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন’। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কর্মসূচী পাল ন করে আসছিলেন তারা। ৩০ মে’র মিছিল তারই ধরারাবাহিকতা। মিছিলটি কাচারীবাজারে সমাবেশে মিলিত হয়। ভূমিহীন আন্দোলনের নেতা চাঁন মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন আন্দোলনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সংগঠক শাহিদুল ইসলাম সুমন, জুবায়ের আলম জাহাজী, শাহনেওয়াজ শুভ, মর্জিনা বেগম, কোহিনুর বেগম, শেফালী খাতুন,রুপানা বেগম,ফাতেমা আক্তার, রোকেয়া খাতুন, লিয়ন খান প্রমুখ। সমাবেশে বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু ও সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু বক্তব্য রাখেন।
সংগঠকরা বলেন, পুনর্বাসন মানে শুধু থাকার ঘর নয়। সাথে কাজ ও খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে হবে। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের যে সকল খাসজমি প্রভাবশালীদের দখলে আছে তা উদ্ধার করতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কমাতে হবে এবং শ্রমজীবী, নিম্ন আয়ের সকল মানুষকে আর্মিরেটে রেশন দিতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হলে এসব ন্যূনতম দাবি অবিলম্বে সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। আর ইতোমধ্যে পুনর্বাসন না করেই মাহিগঞ্জ সাতমাথার যে বস্তি ভাঙ্গা হয়েছে অবিলম্বে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পুনর্বাসন করতে হবে। অন্যথায় সামনের দিনে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।