আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, বীজ সার, কীটনাশকের, ভর্তুকিসহ ৮ দফা দাবিতে রংপুর আলু চাষী সংগ্রাম পরিষদ ও কৃষক ফ্রন্টের বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারকলিপি পেশ।
১৬ অক্টোবর ১৪ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদ ও সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট এর উদ্দ্যোগে সকাল ১১.০০ টায় মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পূর্ববর্তী প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আলু চাষী সংগ্রামা পরিষদের আহয়বায়ক, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা সংগঠক এবং বাসদ রংপুর জেলা কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা কমিটির সদস্য পলাশ কান্তি নাগ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট রংপুর জেলার সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু, আলু চাষী মোহাম্মদ আলী, তসলিম উদ্দিন, নুর ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরন করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন উচ্চ মূল্য বীজ, সার , ডিজেল, বিদ্যুৎ কীটনাশক ক্রয় করে ফসল উৎপাদন এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকদের জন্য যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে গত কয়েক বছর যাবত দেশের আলু চাষীরা ভয়াভহ সংকটের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে সর্বশান্ত হয়েছে। প্রতি বছরই উচ্চ মূল্য বীজ আলু কিনতে হয় বাজারে উচ্চ মূল্যে কেনা সেসব বীজ আলু নির্ভেজাল কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কীটনাশক ও সারেরও একই অবস্থা বেশির ভাগ কৃষকের মূলধন না থাকায় এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় মহাজনী সুদে অথবা ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম আলু বিক্রির টাকা নিয়ে উৎপাদন খরচ জোগার করতে হয়। এতসব প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে যে চাষীরা আলু উৎপাদান করে, তারা প্রতি বছরই আলুর ন্যায্য মূল্য পায় না। গত বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত বস্তা আলু রাস্তায় ফেলে চাষীরা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রতিবাদ করেছে। চাষীরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারে না, অথচ চাষী ঘর থেকে যখন আলু ব্যবসায়ী মহাজনের ঘরে জমা হয় তখন আলুর মূল্য ৮/৯ গুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে যে আলু ২টাকা কেজি দরে চাষী বিক্রি করে, সে আলু মহাজনের ঘর থেকে ঘুরে বাজারে বিক্রি হয় ২০/২৫ টাকা দরে। শুধু ন্যায্য মূল্য না পাওয়াই নয়, আলু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা ও এ বিরাট সমস্যা। সারাদেশে আলু সংক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে একটিও কোল্ডস্টোরেজ নির্মিত হয়নি। বেসরকারি মালিকানাধীন কোল্ডস্টোরেজে বস্তা প্রতি ভাড়া কত হবে এবং সংরক্ষণ কি পদ্ধতিতে হবে, তার কোন সরকারি নীতিমালা নেই। ফলে মালিকেরা ইচ্ছা মাফিক ভাড়া নির্ধারণ ও পদ্ধতি ঠিক করে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরন করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন উচ্চ মূল্য বীজ, সার , ডিজেল, বিদ্যুৎ কীটনাশক ক্রয় করে ফসল উৎপাদন এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকদের জন্য যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে গত কয়েক বছর যাবত দেশের আলু চাষীরা ভয়াভহ সংকটের মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে সর্বশান্ত হয়েছে। প্রতি বছরই উচ্চ মূল্য বীজ আলু কিনতে হয় বাজারে উচ্চ মূল্যে কেনা সেসব বীজ আলু নির্ভেজাল কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কীটনাশক ও সারেরও একই অবস্থা বেশির ভাগ কৃষকের মূলধন না থাকায় এবং সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় মহাজনী সুদে অথবা ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম আলু বিক্রির টাকা নিয়ে উৎপাদন খরচ জোগার করতে হয়। এতসব প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে যে চাষীরা আলু উৎপাদান করে, তারা প্রতি বছরই আলুর ন্যায্য মূল্য পায় না। গত বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় শত শত বস্তা আলু রাস্তায় ফেলে চাষীরা ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রতিবাদ করেছে। চাষীরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারে না, অথচ চাষী ঘর থেকে যখন আলু ব্যবসায়ী মহাজনের ঘরে জমা হয় তখন আলুর মূল্য ৮/৯ গুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে যে আলু ২টাকা কেজি দরে চাষী বিক্রি করে, সে আলু মহাজনের ঘর থেকে ঘুরে বাজারে বিক্রি হয় ২০/২৫ টাকা দরে। শুধু ন্যায্য মূল্য না পাওয়াই নয়, আলু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা ও এ বিরাট সমস্যা। সারাদেশে আলু সংক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে একটিও কোল্ডস্টোরেজ নির্মিত হয়নি। বেসরকারি মালিকানাধীন কোল্ডস্টোরেজে বস্তা প্রতি ভাড়া কত হবে এবং সংরক্ষণ কি পদ্ধতিতে হবে, তার কোন সরকারি নীতিমালা নেই। ফলে মালিকেরা ইচ্ছা মাফিক ভাড়া নির্ধারণ ও পদ্ধতি ঠিক করে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিএডিসির মাধ্যমে মানসম্মত বীজ সরবরাহ, বীজ, সার, কীটনাশকের বাণিজ্য ও বিপনন বন্ধ, বস্তা প্রতি কোল্ডস্টোরেজ ভাড়া ১শ টাকা নির্ধারণসহ ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে আলু চাষীদের রক্ষার দাবি জানান।