এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমা, ইতি চাকমা ও মোটর সাইকেল চালক ছাদিকুল হত্যার বিচারের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। পথ সমাবেশে বক্তারা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নানা ধরণের সরকারী বাহিনী ও দুর্বৃত্তদের হাতে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চলছে। এতে সাধারণ জনগন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। যারা দেশের রক্ষক তারাই মানুষ মারার হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হচ্ছে। তনু, রমেল হত্যা তারই প্রমাণ। গত মাসে সেনাবাহিনী এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে সন্ত্রাসীর ধুয়ো দিয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলে। তার মরদেহ তার পরিবারে হস্তান্তর না করে প্রমাণ লোপাট করার জন্য বেওয়ারিশ হিসেবে পুড়িয়ে ফেলে। আমরা মনে করি রমেল যদি সন্ত্রাসি হয়ে থাকে তাহলে তাকে আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে তার বিচার করা যেত। কিন্তু নির্যাতন করে হত্যা করা কোন বিচারের আওতায় পড়ে না। রাজাকারদেরও বিচারের আওতায় এনে বিচার হয়েছিল বা হচ্ছে। তাহলে রমেলকে কেন এমন করে মেরে ফেলা হল? রমেল চাকমা হত্যাকান্ডের আগে ছাদিকুল নামে এক মোটর সাইকেল চালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে মোটর সাইকেল চালক হত্যা মোটর সাইকেল ছিনতাই বারবার হচ্ছে। সম্প্রতি এর বলি হল ছাদিকুল। কিন্তু প্রশাসন এই পর্যন্ত কোন হত্যাকারীকে ধরতে পারিনি। রাস্তাঘাটে প্রশাসন কোন নিরাপত্তা দিতে পারছেনা। পেটের দায়ে মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালাতো ছাদিকুল। দুর্বৃত্তদের হাতে তাকেও প্রাণ হারাতে হল। খাগড়াছড়ি কলেজের শিক্ষার্থী ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের বেশ কয়েকমাস হলেও অপরাধী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতি চাকমা নিজ বাড়িতেই খুন হন দুর্বৃত্তের হাতে। এভাবে একের পর এক হত্যাকান্ড চলছে এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা সমাবেশ থেকে এইসব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং জনগনের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবী জানান। পথ সমাবেশটি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম কৃষ্ণ দে এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখার আহ্বায়ক কবির হোসেন, সদস্য স্বাগতম চাকমা।
এর আগে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাপলা চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে কোর্ট রোড মোড় ঘুড়ে এসে মুক্ত মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়।