২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজিডি দিবসে শ্রমিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিহত শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে পুলিশ প্রথমেই বাধা প্রদান করে এবং নানাভাবে হুমকি দেয়। সকাল থেকেই পুলিশ রানা প্লাজা চত্বরের সামনে জলকামান ও ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করে একরকম অঘোষিত ১৪৪ ধারা জারি করে অবস্থান গ্রহণ করে যাতে শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়ে সমাবেশ করতে না পারে। এধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ক কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকার মালিক শ্রেণির পক্ষে অবস্থান নিয়ে আজ যেকোন ধরনের শ্রমিক আন্দোলন নিষ্ঠুর কায়দায় দমন করে শ্রমিক শ্রেণির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
রানা প্লাজার ট্র্যাজিডির নিহত শহীদদের স্মরণে সকাল সাড়ে ১০টায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা রানা প্লাজা চত্বরের শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ভেঙ্গে পড়লে নিহন হন এক হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক, আহত হন আরও হাজার খানেক শ্রমিক, যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। রানা প্লাজা ট্র্যাজিডির ৪ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নিহত শ্রমিকের পরিবার এবং আহত শ্রমিকরা নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আহতদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং পযাপ্ত ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত দেয়নি বর্তমান সরকার। বরঞ্চ রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যাকা-ের প্রতিবাদে যারা সোচ্চার তাদেরকে মামলা দিয়ে এবং গ্রেফতার করে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
কমরেড জহিরুল ইসলাম অবিলম্বে রানা প্লাজায় নিহত-আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবি করেন। একই সাথে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মোট মজুরি, সকল কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করারও দাবি জানান।