ভারতের এনটিপিসির অংশগ্রহণে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জাতীয় কমিটির খোলা চিঠি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমরা যথাযথ সম্মান ও শুভেচ্ছাসহ বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের গভীর উদ্বেগ ও আশংকার বার্তা নিয়ে আপনার কাছে এই চিঠি লিখছি। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিরক্ষা প্রাচীর, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, অতুলনীয় বাস্তুসংস্থান, বিশ্বের অসাধারণ সম্পদ সুন্দরবন এখন হুমকির মুখে। এর প্রধান কারণ ভারত বাংলাদেশ যৌথ মালিকানায় নির্মিতব্য ১৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
… ভারত সরকারের প্রধান হিসেবে আপনার কাছে বিষয়টি উপস্থাপনও আমরা জরুরী মনে করছি। এর পেছনে প্রধানত দুটো কারণ। প্রথমত, এই প্রকল্পের মুখ্য ভূমিকা ভারতের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি, ভারতের রাষ্ট্রীয় নির্মাণ কোম্পানী ভেল, ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক এবং খুব সম্ভব ভারতের কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোল ইন্ডিয়ার। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবন আক্রান্ত হলে ভারতের দিকের সুন্দরবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশি বিদেশি স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ থেকে আমরা নিশ্চিত যে, এই কেন্দ্র সুন্দরবনের অস্তিত্বের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। …. সুন্দরবন ও তার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোর সাথে বনজীবী ও মৎসজীবী হিসেবে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা সম্পর্কিত। এই প্রকল্পের ফলে তাঁদের জীবিকা বিপর্যস্ত হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি মানুষের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করে সুুন্দরবন। …. এই সর্বনাশ শুধু বাংলাদেশের সুন্দরবনেই সীমিত থাকবে না। তা ভারতের দিকের সুন্দরবনের ৫০ লাখ মানুষকেও বিপদগ্রস্ত করবে। … এই সর্বনাশ শুধু বর্তমান সময়ের নয়, মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতির এই ক্ষতি চিরস্থায়ী, আগামী বহু প্রজন্ম এর শিকার হবে। উন্নয়ন আমাদের দরকার, বিদ্যুৎ আমাদের দরকার। কিন্তু উন্নয়ন ও বিদ্যুতের নামে প্রাণঘাতী, মানুষ ও প্রকৃতির জন্য সর্বনাশা কতিপয় গোষ্ঠীর লোভের বাণিজ্য প্রকল্প কোনো সুস্থ মানুষ গ্রহণ করতে পারে না। ….
বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, এই প্রকল্পের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে কিন্তু এই প্রকল্প থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬)। আমরা আশা করি, এর অর্থ এটা নয় যে, ভারত সরকারের চাপেই বাংলাদেশ সরকার এই সর্বনাশা প্রকল্প করতে বাধ্য হচ্ছে। আমরা আশা করি আপনার ইতিবাচক ভূমিকার মধ্য দিয়ে এরকম আশংকা মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবি যৌথভাবে সুন্দরবনের ১৪ কিমি, এবং বাফার জোন বিবেচনা করলে ইকলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়ার (ইসিএ) ৪ কিমি-র মধ্যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে অবিরাম কয়লাসহ সাজসরঞ্জাম পরিবহণেরও আয়োজন করা হচ্ছে। অথচ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২৫ কি:মি: এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় না। ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রণীত পরিবেশ সমীক্ষা বা ইআইএ গাইড লাইন ম্যানুয়াল ২০১০ অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৫ কি:মি: এর মধ্যে কোনো বাঘ/হাতি সংরক্ষণ অঞ্চল, জৈব বৈচিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কিংবা অন্যকোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা অনুমোদন করা হয় না। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ভারতের এই বিধিনিষেধ ও পরিবেশ সচেতনতার কারণে আপনার সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও গ্রীণ ট্রাইব্যুনাল গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ ও খনি প্রকল্প স্থগিত বা বাতিল করেছে। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানি যে ভারতের আইন ও বিধিমালা ভঙ্গ করেই এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে সে বিষয়েও আমরা এই চিঠির মাধ্যমে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
….. এই কেন্দ্রের জন্য সুন্দরবনের আঙিনায় বছরে ৪৭ লক্ষ টন কয়লা পোড়ানো হবে এবং প্রতিদিন সুন্দরবনের মুখে থেকে পুরো শরীরের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা পরিবহণ করা হবে। ৩০ বছরের এই প্রকল্পে কয়লা উঠানো নামানো ও পরিবহণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না এই দাবি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া এই প্রকল্প প্রতিঘন্টায় ৯ হাজার ১৫০ ঘনমিটার পানি নদী থেকে ব্যবহার করবে এবং ৫ হাজার ১৫০ ঘনমিটার পানি আবার নদীতে ফেলবে। কোম্পানি একদিকে দাবি করছে, এই পানি বিশুদ্ধ করে ঠাণ্ডা করা হবে তারপর নদীতে ফেলা হবে, অন্যদিকে কোম্পানির লিখিত বক্তব্যে আছে এই পানি ফেলার কারণে নদীর পানির তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পাবে, যা নদীর প্রাণজগত বিধ্বস্ত করবে। প্রাণবিজ্ঞানীরা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ফেলা বিষাক্ত তপ্ত পানিতে পশুর নদীর উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এই বাস্তুসংস্থানের জুয়োপ্লাংকটনএবং ফাইটোপ্লাংকটন বিধ্বস্ত করে দেবে। এটা একই সাথে মাছ ও পশুর খাদ্যচক্র ধ্বংস করবে। ক্রমান্বয়ে তা সমগ্র বাদাবনের বাস্তুসংস্থান বিপর্যস্ত হবে।
তাছাড়া প্রতিবছর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিষাক্ত পারদ সুন্দরবনকে বিষাক্ত করবে। ইউনিয়ন অব কনসার্নড সাইনটিস্টদের হিসেব অনুসারে, ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বছরে ৩৭৪ পাউন্ড বা ১৬৯.৬৪ কেজি পারদ পানি ও বাতাসে মিশ্রিত হতে পারে। শতকরা ৬০ শতাংশ পারদ নিয়ন্ত্রণ করা হলেও প্রায় ৬৮ কেজি পারদ বাতাসে ও পানিতে মিশবে। এটি পানির মধ্য দিয়ে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে পুরো বাস্তুসংস্থানকে নষ্ট করবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুবই নিয়ন্ত্রণমূলক প্রযুক্তির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কয়লার দূষণকারী উপাদান পানি ও বাতাসে চলে যায়।
…. প্রকৌশলীরা বলেন, আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি কয়লা পোড়ানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি করে, তাতে সাবক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির তুলনায় দূষণ কমে শতকরা ৮ থেকে ১০ ভাগ। অন্যান্য দূষণ প্রতিরোধ প্রযুক্তি যদি ব্যবহার করা হয় তারপরও দূষণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করবার কোনো দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও নেই। যেমন, যদি এফজিডি ব্যবহার করা হয় তাহলে তা হয়তো বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড দূষণ কমাতে পারবে কিন্তু ব্যবহৃত পানির মাধ্যমে বিস্তীর্ণ পানি আর্সেনিক, মারকারি, সেলেনিয়াম, বোরোনসহ তরলীকৃত এবং কঠিন দূষিত উপাদানে বিষাক্ত হবে। নিম্ন মাত্রার নাইট্রোজেন অক্সাইড চুল্লী ব্যবহার করলে এর দূষণ বড়জোর শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ কমতে পারে। কিন্তু বাকি পরিমাণই সুন্দরবনের ভয়াবহ পরিণতি সৃষ্টি করবে। কোম্পানির পক্ষ থেকে এফজিডি ও ইএসপি-র ব্যবহারের দাবি করা হয়েছে, কিন্তু এগুলোর সমন্বিত ও দক্ষ ব্যবহারও পারদের দূষণ কমাতে পারে বড়জোর গড়ে শতকরা ৪৮ ভাগ। তাতে সুন্দরবনে পারদ দূষণের ভয়ংকর ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পারদ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির কথা দরপত্রে নেই।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেন, এছাড়া আরও কিছু ঝুঁকি আছে যা প্রযুক্তি দিয়ে ঠেকানো যায় না। যেমন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কয়লা পরিবহন থেকে শব্দ ও পানি দূষণ, ফ্লাই এ্যাশ থেকে দূষণ, বা ছাই এর পুকুর থেকে উপচে পড়ে পানি দূষণ। এছাড়া আছে দুর্ঘটনার আশংকা। গত কয়বছরে সুন্দরবনের ভেতরের নদীতেই অনেকগুলো নৌ-দুর্ঘটনা হয়েছে, তার সুদূরপ্রসারী ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনে …
বাস্তবে প্রযুক্তি যতোই উন্নত হোক, প্রতিবেশগত সংবেদনশীল বনের জন্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মারাত্মক ক্ষতিকর হবেই। এই হুমকি আরও বৃদ্ধি পায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বল ভূমিকার কারণে। এক্ষেত্রে আমরা কোম্পানি বা তদারককারী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার রেকর্ড থেকে আরও আশংকিত, ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রেনমেন্ট এনটিপিসি সম্পর্কে লাল সংকেত দিয়েছে। আমরা জানি, রাজধানী ঢাকা মহানগরীর চারপাশের নদীতে প্রতিদিন ৯০ হাজার ঘনমিটার দূষিত পানি পড়ছে।
যে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই তা নিয়ে আমরা কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারি না। আমরা বরং দাবি করবো এই অতুলনীয় সম্পদকে রক্ষার জন্য বনকে নিজের মতো বাঁচতে দেয়া হোক। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ বৃহত্তর সুন্দরবন এলাকায় দূষণ ও ঝুঁকি সৃষ্টি কারী সকল তৎপরতা বন্ধ করা, নদীপথে ক্ষতিকর দ্রব্যাদি পরিবহন বন্ধ করা, বাতাস দূষণ বন্ধ করতে নিরাপদ এলাকা পর্যন্ত সবধরনের বাণিজ্যিক তৎপরতা বন্ধ করার দাবি তারই অংশ। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিজে শুধু ভয়ংকর ঝুঁকি নিয়ে আসছে না এটি আরও বনগ্রাসী প্রকল্পকে আকর্ষণ করছে। তাই এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের মধ্য দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় ভারত সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
… এসব বিবেচনাতেই বাংলাদেশের মানুষ ছাড়াও ইউনেস্কো, রামসার কর্তৃপক্ষ, ভারতের আই কে গুজরাল নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ এশীয় মানবাধিকার সংগঠনসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক সংগঠন এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছে। নরওয়ে এই প্রকল্পে অর্থসংস্থান বাতিল করেছে। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন নিয়ে কোনো দরকষাকষি চলে না। সুন্দরবন নিয়ে আমরা সামান্যতম ঝুঁকিও নিতে পারি না কেননা সুন্দরবন কেবলমাত্র একটাই আছে, আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিকল্প স্থান, প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থা খুবই সুলভ এবং তা আমাদের আয়ত্তের মধ্যে। যদি জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভারতের সাথে একটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারত ও শ্রীলঙ্কা সরকার বাতিল করতে পারে তাহলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ঠেকাতে বাংলাদেশে কেন তা সম্ভব হবে না?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা আমরা কখনো বিস্মৃত হইনি। ১৯৭১ সালে ভারতের সরকার ও জনগণের ভূমিকায় বাংলাদেশের মানুষ একটি বড় আশ্রয় পেয়েছিলেন, তার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মনে সবসময়ই একটা কৃতজ্ঞতাবোধ আছে। কিন্তু আবার ভারতের শাসকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের ক্ষোভও আছে বহুবিধ কারণে। ফারাক্কা এর একটি যা সুন্দরবনের জন্য ক্রমেই আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠছে, তারপর আরও বাঁধ, তারপর নদী সংযোগ পরিকল্পনা, অবিরাম সীমান্ত হত্যা, কাঁটাতারের সীমান্ত, বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা, ঋণ দিয়ে বেশি দামে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য করা, ট্রানজিটের নামে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর চেপে বসা ইত্যাদি। সর্বশেষ সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প। আগেরগুলো সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে, তারপরও মানুষ আশা নিয়ে থাকে হয়তো এসবের সমাধান একদিন পাওয়া যাবে।
কিন্তু রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে যখন সুন্দরবনের বিনাশ ঘটবে সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ থাকবে না, সুন্দরবনের এই ক্ষতি আর কোনোকিছু দিয়েই পূরণ করা যাবে না। ফলে তখন মানুষের তীব্র ক্ষোভ চিরস্থায়ী হবে। বন্ধুত্ব নাম দিয়ে তৈরি কোম্পানি হবে বৈরীতা চিরস্থায়ীকরণের মাধ্যম। আমরা চাই না এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হোক। সেজন্য আমরা চাই দুইদেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বের স্বার্থেই বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার দ্রুত এই প্রকল্প থেকে সরে আসবেন। আমরা এখনও আশা করি, সমমর্যাদার ভিত্তিতে দুইদেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত হবে, বন্ধুত্ব হবে প্রকৃতই পরস্পরের বিকাশমুখি।
অতএব দুইদেশের মানুষের স্বার্থ এবং বিশে^র এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে যৌথভাবে আপনি এই প্রকল্প বাতিলে দ্রুত উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা আশা করি।
ধন্যবাদসহ,
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষে
প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আহ্বায়ক
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সদস্য সচিব