অবিলম্বে সুন্দরবনের পাশে বন ও পরিবেশ ধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি বাতিলের দাবিতে ২৭ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১টায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠক সমিত ভৌমিকের পরিচালনায় ও সজল দাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকার।
বক্তারা বলেন, প্রাণ- প্রকিতির মহামিলন ক্ষেত্র সুন্দরবন আজ রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বিপন্ন হতে চলেছে। যে সুন্দরবনকে বিশ্বের সপ্তাশর্য করার জন্য ভোট দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করেছে, যে সুন্দরবন বাংলাদেশের রক্ষা প্রাচীর হয়ে দাড়িয়ে সিডর আইলা থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে, যে সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, যার পাশের নদীতে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ আছে – সে সুন্দরবন আজ ক্ষমতার মোহে অন্ধ সরকারের কাছে তুচ্ছ। ভারতের কোম্পানী, ভারতের ঋণ, ভারতের কয়লাসহ সবই যখন ভারতের তখন কেন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন?
বক্তারা আরো বলেন, দেশের মানুষ যখন দেশের চলমান জঙ্গি-মৌলবাদী হামলা, শিশু-নারী নির্যাতনের কারণে অস্থিরতার মধ্যে কাটাচ্ছেন তখন সরকার চুুপি চুপি দেশ বিরোধী এইসব চুক্তি করছেন। এই চুক্তি জনগণ মানে না। চুক্তি করার পর চুক্তি বাতিলের অনেক নজির পৃথিবীতে আছে। আমরাও জনগণকে সাথে নিয়ে এই চুক্তি প্রতিহত করব।
বক্তারা আরো বলেন, একের পর এক জঙ্গি হামলার পর সরকারের নির্বিকার থাকার কারণে আজ আমাদের দেশে গুলশান-শোলাকিয়ার মত হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সরকারের ও জনগণের উচিত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল জায়গায় গণতান্ত্রিক ও সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিশ্চিত করা।
সভা থেকে আগামীকাল তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ সমাবেশে সবাইকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।