রেলের যাত্রীবাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা শাখার উদ্যোগে নগরীর ষোলশহর রেল ষ্টেশন চত্বরে ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) পাঁচলাইশ থানার সদস্য কমরেড আরিফ মঈনুদ্দিন, কমরেড মোঃ সাইয়েম. কমরেড হারুন-অর-রশিদ। পথসভা পরিচালনা করেন কমরেড অর্পন পাল।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ”দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় যে হারে বেড়েছে, আয় সে হারে বাড়েনি। বাড়ীভাড়া, গাড়ীভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে জনজীবন আজ দুর্বিষহ। এই অবস্থায় রেলের ভাড়া বৃদ্ধি সাধারন মানুষের জীবনের দুর্ভোগ আরো বাড়াবে। সরকার সড়ক পরিবহন খাতের বড় বড় বাস মালিকদের স্বার্থে নানা নামে রেলখাতকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারই একটা প্রক্রিয়া বছর বছর ভাড়া বৃদ্ধি।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ”সরকার লোকসানের অজুহাতে গত ২০১২ সালে রেলভাড়া দ্বিগুণ করলেও দেখা যাচ্ছে লোকসান কমার পরিবর্তে বরং বেড়েছে। রেলভাড়া বৃদ্ধির আগে লোকসান হয়েছিল ৮০০ কোটি, আর রেলভাড়া বৃদ্ধির পর লোকসান হয়েছে ৯০০ কোটি। রেলব্যবস্থাপনার নানা দুর্নীতি-লুটপাটের জন্য যে লোকসান তার ভার জনগণকে কেন বহন করতে হবে? লোকসানের নামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টামাত্র। বরং এ.ডি.বি., বিশ্বব্যাঙ্ক, আই.এম.এফ-এর পরামর্শেই সরকার রেলকে বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, রেলকে আধুনিকায়ন করার জন্য ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। বরং রেলখাতের বিভিন্ন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করলে, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা সে টাকা উদ্ধার করে, দখলকৃত রেলের হাজার হাজার একর জমি উদ্ধার করে রেলকে আধুনিকায়ন করা সম্ভব। এর জন্য বিদেশীদের কাছে হাত পাতারও দরকার হবে না।”
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রেলের ভাড়া বাড়ানোর চক্রান্ত বন্ধ এবং রেলকে আধুনিকায়ন করে জনগণের গণপরিবহনে রূপান্তর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।