“মহাজোট সরকারের তথাকথিত উন্নয়নে লাভবান হচ্ছে মুষ্টিমেয় ধনিকশ্রেণী-লুটেরাগোষ্ঠী, পক্ষান্তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর সর্বশেষ নজির স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় রেলের ভাড়াবৃদ্ধি। একই কায়দায় সরকার তেলের দাম কমাতে অস্বীকার করছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিচ্ছে। এইভাবে মানুষের পকেট কেটে সেই টাকা দিয়ে বড় বড় চটকদার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়বৃদ্ধির নামে যথেচ্ছা লুটপাট চালানো হচ্ছে।” রেলের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাসদ(মার্কসবাদী) ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও পরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফখরুদ্দিন কবির আতিক, প্রকৌশলী হারুন-আল-রশিদ, বেলাল চৌধুরী, সীমা দত্ত প্রমুখ। রেলভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাসদ (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তি ৪৩ বছরে রেলকে সংকুচিত করা হয়েছে এবং ব্যাপক দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও সংস্থার কাছে রেলের বকেয়া পাওনা ১২,৬১০ কোটি টাকা। রেলের ১২,১০০ একর জমি অবৈধ দখলদারদের হাতে। এ বকেয়া পাওনা ও দখলকৃত জমি উদ্ধার করে রেলের উন্নয়নে ব্যয় করা হলে ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। কিন্তু সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা জিইয়ে রেখে লোকসানের দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। অথচ, সাধারণ মানুষের পরিবহন রেলওয়ে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত নয়। পৃথিবীর অনেক দেশে ভর্তুকি দিয়ে রেলের মত জনগুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক খাত পরিচালিত হয়।”
বক্তারা রেলভাড়া বৃদ্ধির এই গণবিরোধী, স্বৈরতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একইসাথে সাধারণ মানুষের স্বার্থে রেলকে পরিচালনা, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দাবিতে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।