গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনে শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মানবিক সাহায্য প্রদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠি ও সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমে সরকার ও সরকারি দল কর্তৃক হামলা, হুমকি এবং বাধা প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের যেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, তা না করে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য লোক দেখানো বাগাড়ম্বর বুলি আওড়াচ্ছে। উখিয়ায় পুতপালং শরণার্থী শিবিরে লাখ, লাখ রোহিঙ্গারা আজ চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের খাদ্য নাই, মাথা গোঁজার ঘর নাই, টয়লেট নাই। তীব্র বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট, রোগাক্রান্ত এবং নিরাপত্তাহীন। এই অবস্থায় সরকারের ভূমিকায় জনগণ আস্থা রাখতে না পেরে নিজেদের উদ্যোগে মানবিক সহযোগিতার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। বিএনপির ২৭ ট্রাক ত্রান সামগ্রী আটকানো, বাসদের (মার্কসবাদী) গাজীপুরে এবং উত্তরবঙ্গে ত্রাণ সংগ্রহের টিমকে পুলিশী বাধা এবং গ্রেফতার করাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, সামাজিক, রাজনৈতিক দলের ত্রাণ কার্যক্রমের উপর সরকারি বাধা একটি অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ত্রাণ সংগ্রহ বা ত্রাণ বিতরণে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারকে আহ্বান জানান। পাশাপাশি মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গাদের যতদ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ কুটনৈতিক তৎপরতা পরিচালনার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, দেশের জনগণকে হুমকি, গ্রেফতার বা বাধাকে উপেক্ষা করে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য-সহযোগিতার কাজ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।