Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদর‌্যাব-পুলিশের গুম-ক্রসফায়ার বন্ধ ও নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে...

র‌্যাব-পুলিশের গুম-ক্রসফায়ার বন্ধ ও নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে ১১ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ

র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গুম-ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করা, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ প্রতিটি গুরুতর অভিযোগের বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের সাথে জড়িত র‌্যাব কর্মকর্তা ও স্থানীয় সন্ত্রাসী-গডফাদারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আগামী ১১ মে রবিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এদিন বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল ৭ মে বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচি গৃহীত হয়। বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকী, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, সিদ্দিকুর রহমান, ইয়াসিন মিয়া, হামিদুল হক, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, এড. আবদুস সালাম প্রমুখ।

দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাদের সেনাবাহিনী থেকে অবসর দিয়ে তাদের রক্ষা করলে দেশবাসী তা মেনে নেবে না, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারী আইনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে র‌্যাব এই কাজ করেছে, সরকারদলীয় সেইসব স্থানীয় সন্ত্রাসী-গডফাদারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও পক্ষপাতহীন তদন্ত-বিচার করতে হবে। প্রস্তাবে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের। কারণ রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সরকারী দলের লোকেরা এই নৃশংস খুন করেছে, নিহতরা অপহৃত হওয়ার পর তাদের ‘যে-কোন মূল্যে উদ্ধারেরজন্য প্রধানমন্ত্রী লোকদেখানো ঘোষণা দিলেও বাস্তবে সরকার-প্রশাসন-পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সবচাইতে বড় কথা, বছরের পর বছর ধরে র‌্যাব-পুলিশকে বিনাবিচারে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, র‌্যাকে অঘোষিত দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা র‌্যাবের কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের সরকারদলীয় গডফাদার ও সন্ত্রাসীরা যে আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার জন্যও দায়ী দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উচ্চমহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়। নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন ও সারাদেশের মানুষের দাবি সত্ত্বেও নিরপরাধ কিশোর ত্বকী হত্যার বিচার এখনো হয়নি, বরং অভিযুক্ত গডফাদার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য পর্যন্ত হয়েছেন।

প্রস্তাবে বলা হয়, শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারাদেশে আজ সরকারি দলের আশ্রয়পুষ্ট গডফাদার-ক্যাডার-র‌্যাব-পুলিশ একাকার হয়ে বেপরোয়া লুটপাট-চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এর মধ্যেও বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হল রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক অপহরণ-গুম ও ক্রসফায়ারের নামে বিনাবিচারে হত্যা। সন্ত্রাস দমনের নামে র‌্যাবকে বেআইনি কর্মকাণ্ড করার লাইসেন্স দিয়ে তাকে খুনি বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। এর পরিণতিতে ও আইনের উর্দ্ধে থাকার সুযোগ নিয়ে র‌্যাবের অনেক সদস্যই অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায়, জননিরাপত্তা রক্ষায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনসাধারণকেই সংগঠিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং গণআন্দোলনের চাপে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় গডফাদারদের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments