গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ কালো টাকা, ঋণখেলাপী ও লুটেরাদের স্বার্থে প্রণীত গণবিরোধী বাজেট প্রত্যাখ্যান করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ১২ জুন ২০১৮ সকাল সাড়ে ১১টায় নির্মল সেন মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য আজিজুর রহমান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন,‘দেশের পুঁজিপতিদের কাছ থেকে অবৈধ, অনুপার্জিত ও অপ্রদর্শিত অর্থ উদ্ধারের পরিবর্তে বাজেট প্রস্তাবনায় তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে অর্থ ও সম্পদের আরো পুঞ্জিভবন ঘটবে; জবাবদিহিতাহীন লুটেরা ও বিত্তবানদের হাতে আরো বেশি করে অর্থ ও সম্পদ কেন্দ্রীভূত হবে, ধনী-গরীবের বৈষম্য বাড়বে; শ্রমিক-কৃষকসহ স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে দূর্ভোগ-দুর্দশা বাড়বে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘প্রতিরক্ষাসহ অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিও শিল্প-কৃষি-স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ জনকল্যাণমূলক খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ করা হয়েছে। সামরিক-বেসামরিক-আমলাতন্ত্র শক্তিশালী করার ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা জনবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বৈরাচারী চেহারা তুলে ধরেছে।’ নেতৃবৃন্দ আমলাতন্ত্র ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রণীত এ বাজেট সংশোধন করে বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান।