Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদশহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাসদ (মার্কসবাদী)’র শ্রদ্ধাঞ্জলী

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাসদ (মার্কসবাদী)’র শ্রদ্ধাঞ্জলী

spbm_14122016

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ সকালে মিরপুরের বু্িদ্ধজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, কমরেড মানস নন্দী ও কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিকের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আগ মুহূর্তে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী রাজাকার-আলবদর বাহিনীর সহযোগীতায় বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষত্রের অগ্রগণ্য মানুষদের বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করে। বাঙালী জাতিকে মেধা ও মননশূন্য করায় ছিল ঘাতক বাহিনীর উদ্দেশ্য। ধর্মভিত্তিক পাকিস্থান রাষ্ট্রের শোষণ বৈষ্যমের বিরুদ্ধে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা  চিন্তা, কর্ম ও সরাসরি আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণের মধ্যে শোষণ-বৈষম্যহীন চেতনার বিকাশ ঘটায়। বাংলার নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগন শোষণমুক্ত সমাজের আশায় সসস্ত্র সংগ্রামে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীকে পরাজিত করে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্খিত ধর্মীয় কুসংষ্কার ও কুপমন্ডুক চিন্তামুক্ত শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়নি। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে সমাজের পরতে পরতে ধর্মীয় কুসংষ্কার ও কুপমন্ডুক চিন্তা প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হলে শোষণ-বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই গড়ে তুলতে হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments