নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ১২ মে ২০১৭ বিকাল ৪টায় শাফাতসহ সকল ধর্ষক-নির্যাতক-মদতদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা ও ঢাকা নগর শাখার সদস্য সুষ্মিতা রায়। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উইমেন রাইডার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ইশরাত খান মজলিশ।
বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিনে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বনানীতে হোটেলে আটকে গণধর্ষণ, জুরাইনে কিশোরীকে বিদ্যালয়ে আটকে গণধর্ষণ, নারায়ণগঞ্জে স্বামীর জামিনের কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ, গাজীপুরে কন্যাকে নির্যাতনকারীর বিচার না পেয়ে বাবা হযরত আলী ও কন্যা আয়শার ট্রেনের নিচে আত্মহত্যার ঘটনায় জনমনে চরম নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে যে সকল নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগ ঘটনারই কোনো বিচার হয়নি। বরং অপরাধীদের সনাক্ত করা গেলেও রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় তারা জনসমক্ষে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু পুলিশ তাদের সন্ধান পায় না। এভাবে বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় দিন দিন অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। ফলে খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত।
গাজীপুরের হযরত আলী ও আয়শা বিচার না পেয়ে ট্রেনের নীচে আত্মহত্যা করে দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়ে গেল এই সরকার অপরাধীদের ক্ষমা করছে। যারা অন্যায়ের শিকার হচ্ছে তাদের জন্য এই সরকার, বিচার ব্যবস্থা কোনো ভূমিকাই রাখে না।
একদিকে সারাদেশে মাদক-জুয়া-পর্নোগ্রাফি-অশ্লীল পোষ্টারের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে বেকারত্ব-দারিদ্রতা-নৈতিক অবক্ষয় মানবিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিন দিন মানুষকে পশুর স্তরে নামিয়ে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই সকল ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবিতে দেশের বিবেকবান মানুষকে প্রতিরোধ সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।