Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদশ্রমিকদের দাবির সমর্থনে এবং নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ

শ্রমিকদের দাবির সমর্থনে এবং নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ

15776714_1195770093863375_2352720582318200605_o
­­­
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মনে নেয়া ও আশুলিয়ায় আটককৃত শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের দাবির ভিত্তিতে কারখানা খুললেও গ্রেফতার, মামলা, হামলা, বরখাস্ত করা অব্যাহত রেখে শ্রমিকাঞ্চলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। শ্রমিক নেতা সৌমিত্র কুমার, সুজনসহ মোট ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা করা হয়েছে হাজারো শ্রমিকের বিরূদ্ধে। অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে বহু শ্রমিকদের বিরূদ্ধে মামলা করে যে কোন শ্রমিককে সেই মামলায় নির্যাতন করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি উইন্ডিতে ১২১ জন ফ্যান্টনে ১২৫ জন এবং হামীমে ৯১জন শ্রমিককে তালিকাভুক্ত করে বরখাস্ত করে শ্রমিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের যেসব কারণ দেখিয়ে অভিযুক্ত করেছেন সেগুলো লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন শ্রমিকদের ‘তর্ক করে, সংগঠন করে নিজের মতের পক্ষে যুক্তি দাড় করানো’কে অসদাচরন হিসাবে চিহ্নিত করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকারের শামিল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রেফতারকৃত সৌমিত্র কুমার, সুজন এবং সাংবাদিক নাজমুলসহ সকলকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আশুলিয়ায় গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের স্বার্থে পক্ষে কারখানা ভিত্তিক দাবি দাওয়া মেনে নেয়া এবং ১৬০০০ টাকা মজুরি করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো। আন্দালন, সংগঠন, সংগ্রাম সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আন্দোলন করেই এ দেশ ৭১ এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ঐতিহ্য টিকে আছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৩ বছর আগে মজুরি ৫৩০০ টাকা করা হয়েছে বর্তমান বাজারে এই মজুরিতে বাসা ভাড়া দেয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসা, সন্তানদের শিক্ষা কিংবা যাতায়াত কোন কিছুর জন্যই উপযোগী নয়। শ্রম আইনানুযাীয় তিন বছরের মধ্যে মজুরী মূল্যায়ন করা এবং ১৪০ এর ‘ক’ ধারা মতে সরকার যে কোন অবস্থায় নতুন মজুরী বোর্ড গঠন করতে পারে। সেই আলোকেই নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণা করে মূল মজুরি ১০,০০০ টাকা এবং মোট মজুরি ১৬,০০০ টাকা করার উদ্যোগ নেবার জন্য বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ এবং শ্রমপ্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। তাঁরা আরো বলেন হামলা-মামলা-গ্রেফতার, কথায় কথায় ছাঁটাই নির্যাতন ও দমন পিড়ীন এর পথ বেছে না নিয়ে কারখানা ভিত্তিক দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া এবং নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের মধ্য দিয়েই কারখানায় গণতান্ত্রিক কর্মপরিবেশ ফিরে আসতে পারে। সেই লক্ষ্যে শ্রমিকদের আন্দোলন সংগ্রাম এর মধ্য দিয়ে দাবি আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments