Wednesday, December 25, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদশ্রমিক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই

শ্রমিক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই

49898083_10218954952054260_1896851802104528896_n

গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং সদস্য রাজু আহমেদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “আমরা বহুপুর্ব থেকেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ১৬ হাজার টাকা দাবী করেছিলাম। সে দাবীর অর্থ ছিল মজুরী যে হারে নিম্নতম স্তরে বাড়বে সে অনুপাতে সকল গ্রেডে বাড়তে হবে।কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো সরকার এবং মালিকরা প্রথমতঃ নিম্নতম মজুরী ১৬ হাজারের স্থলে ৮ হাজার করেছে। দ্বিতীয়তঃ সে অনুপাতে অনেক দিনের কাজের অভিজ্ঞ ৩, ৪, ৫ গ্রেডের শ্রমিকদের মজুরী বাড়ায়নি। তৃতীয়তঃ অনেক কারখানায় বর্ধিত মজুরী কার্যকরও করেনি।

এ হেন পরিস্থিতিতে গাজীপুরের টংগি, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, শ্রীপুর, উত্তরার আশকোনা, নারায়নগন্জ, মীরপুরের ১২ নাম্বার, কালশি, সাভারের আশুলিয়া, জামগড়া, কাঠগড়া,বাইপাইল-শ্রীপুর, হেমায়তপুরের উলাইনে শ্রমিক বিক্ষোভ ধুমায়িত হয়, যা সরকার নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে শিল্প পুলিশ দিয়ে দমন করতে চেয়েছে। লজ্জা এবং ধিক্কারের বিষয় হলো নয়া সরকার পুলিশি ভোটে সরকার হয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিক হত্যা করতে করতেই স্মৃতিসৌধে গেলেন।

আমরা অবিলম্বে সকল গ্রেডের মজুরী নিয়ে আলোচনা করে সমাধান চাই। এবং পুলিশী বলপ্রয়োগ করে শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। আজকে সাভারের হেমায়েতপুরের উলাইন এলাকার আন-লিমা গার্মেন্টস এর সামনে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে ঐ গার্মেন্টেরই শ্রমিক সুমন মিয়াকে। আহতও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে সোমেজ, আখি বেগম, এবং স্টান্ডার্ড গ্রুপের যমুনা গার্মেন্টের কর্মী রুবিনা বেগম। আরো ২৫জন আহত শ্রমিক নানা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।”

শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বাম জোটের বিবৃতি
শ্রমিক হত্যার বিচার আদায় করা হবে

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শাহ আলম আজ ৮ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন সরকার আন্দোলন দমন করতে শ্রমিক হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই শ্রমিক হত্যার বিচার আদায় করা হবে। বিবৃতিতে অবিলম্বে আন্দোলনরত গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার মালিকপক্ষের সাথে মিলে মজুরি বৃদ্ধির নামে শ্রমিকদের সাথে যে প্রতারণা করেছে তার পরিণতিতেই আজ দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পখাতে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন মজুরি কাঠোমোতে হেলপারের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শিল্পের অধিকাংশ শ্রমিকের মজুরি যৎসামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপারেটরদের মজুরি কোন কোন ক্ষেত্রে কমে গিয়েছে। গত দুই দিন আব্দুল্লাহপুর, দক্ষিণখান, গাজীপুর, সাভার এলাকায় শ্রমিকদের ওপর পুলিশ ও সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান বাম জোটের সমন্বয়ক।

তিনি অবিলম্বে দমন-পীড়ন বন্ধ করে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা এবং শ্রমিকপক্ষের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার মাধ্যমে সংকট সমাধানের দাবি জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments