Saturday, November 23, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - জুন ২০১৭সংগঠন সংবাদ — সাম্যবাদ জুন ২০১৭

সংগঠন সংবাদ — সাম্যবাদ জুন ২০১৭

‘শতবর্ষে নভেম্বর বিপ্লব: বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও কমিউনিস্টদের কর্তব্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

spbm-3-s copy
বাংলাদেশের  সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র উদ্যোগে ‘শতবর্ষে নভেম্বর বিপ্লব: বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও কমিউনিস্টদের কর্তব্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা গত ১০ এপ্রিল’ ১৭ বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার (কমিউনিস্ট)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পালন করছি আমরা এমন এক সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেছেন। কিন্তু তিনি কিছুই আদায় করতে পারেননি। নিরাপত্তা সহযোগিতা-অস্ত্র ক্রয়-লাইন অব ক্রেডিট ঋণ-পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন-ডিজেল ও বিদ্যুৎ আমদানি-কানেকটিভিটি বৃদ্ধি-মহাকাশ সহযোগিতা-সাইবার নিরাপত্তাসহ প্রায় সব সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর ভারতের সামরিক, বাণিজ্যিক ও ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্য বাড়বে। পক্ষান্তরে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা, গঙ্গা ব্যারেজসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সমর্থন নিশ্চিত করতে নতজানু নীতি অনুসরণ করে চলেছে। সংকীর্ণ গোষ্ঠীস্বার্থে ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সাথে বাংলাদেশের শাসকদের বন্ধুত্বে জনগণের কোন স্বার্থ নেই — তা আরেকবার প্রমাণিত হল। আজকের এ আলোচনা সভায় ভারতের এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) এর সাধারণ সম্পাদক এসেছেন। আমরা যেমন ভারতকে একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ মনে করি, এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)ও তেমনি তাকে একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ বলে মনে করে। তারাও দক্ষিণ এশিয়া, মিয়ানমার, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশে ভারতের সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধী।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কমরেড প্রভাস ঘোষ বলেন, এক দুঃখজনক সময়ে আমরা নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপন করছি। মানবসভ্যতায় নতুন এক দ্বার উন্মোচন করেছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন। শ্রমিকদের সবেতন ছুটি উদযাপন, বিনামূল্যে শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ বিরাট ত্যাগ স্বীকার করে ফ্যাসিবাদকে রুখে দিয়েছিলো। সেদিন সারা বিশ্বে ছিলো কমিউনিজমের জয় জয়কার। বার্টেন্ড রাসেল, রমা রঁল্যা, আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ সকল মনীষী একে স্বাগত জানিয়েছেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গানটি প্রথম বাংলায় লিখেছিলেন। কিন্তু এই বিরাট সভ্যতার পতন হলো কেনো? কারণ সমাজতন্ত্র হচ্ছে পুঁজিবাদ থেকে সাম্যবাদে পৌঁছাবার মধ্যবর্তী স্তর। ক্ষুদ্র পুঁজিকে কেন্দ্র করে, মানুষের ব্যক্তিগত অভ্যাসকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাদে ফিরে আসার সম্ভাবনা সব সময়েই থাকে। সোভিয়েতকে প্রতিনিয়ত সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর আক্রমণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিরাট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। দেশের ভেতরে প্রতিবিপ্লবীদের চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হয়েছে। একদিকে এই সকল বিরোধাত্মক পরিস্থিতি, অন্যদিকে চেতনার নিম্নমান, মার্কসবাদী রাজনীতি চর্চার ঘাটতি সোভিয়েতের পতন ঘটিয়েছে।

spbm-1-s copy

বর্তমানে বিশ্বে শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অস্তিত্ব নেই। বিশ্বের অবস্থা এখন কী? ভারতে সরকার সরকারি দপ্তরের কাজ কন্ট্রাকটরকে দিয়ে দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা নামমাত্র মজুরিতে নিজের শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। দরিদ্র কৃষক আত্মহত্যা করছে। দরিদ্র মানুষ অভাবের তাড়নায় নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। মেয়েদের বিক্রি করে দিচ্ছে পরিবারগুলো কিছু টাকার বিনিময়ে। এদের বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। শুধু ভারত নয় – সব দেশেরই এক অবস্থা। এই সংকটের জন্ম দিয়েছে পুঁজিবাদ। এই পুঁজিবাদ দেশে দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে রেখেছে। জাতিগত, সম্প্রদায়গত, ধর্মগত দাঙ্গা প্রবল রূপ নিয়েছে। পুঁজিবাদ যে শত্রু এই চিন্তার বদলে তাদের মধ্যে বিপরীত ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়কে প্রধান শত্রু হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ভারতে বিজেপি-আরএসএসের মাধ্যমে অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি ভয়াবহ ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব এখন সারা বিশ্বে ঘটছে। ঘটাচ্ছে পুঁজিবাদ। ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি না বাঁচলে পুঁজিবাদী অর্থনীতি বাঁচবে না। তাই যুদ্ধ তার চাই। একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এখন বিশ্বে দুটি অর্থনৈতিক-সামরিক জোটের। এর একটি হচ্ছে আমেরিকা-ভারত-অস্ট্রেলিয়া-জাপান-ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে; সেটাতে তারা নেপাল, বাংলাদেশসহ এই এলাকার অন্যান্য দেশসমূহকে যুক্ত করতে চায়। আর একটি হচ্ছে রাশিয়া ও চীনকে কেন্দ্র করে।

ভারত একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশ। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে তার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন সব সময়েই আছে। বাংলাদেশে তিস্তার পানি তারা দিচ্ছে না, যত চুক্তি তারা স্বাক্ষর করছে তার প্রায় সবই অসম। সবই ভারতের একচেটিয়া পুঁজিপতিদের স্বার্থে। পুঁজিবাদকে উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই, মানবজাতির মুক্তি নেই। কিন্তু পুঁজিবাদ এখন সমাজে মানুষ বলে কিছু রাখছে না। তাই এই সময়ে কমিউনিস্টদের কাজ খুবই কষ্টসাধ্য। এ সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে গণআন্দোলন গড়ে তোলা, ব্যাপক মানুষকে পুঁজিবাদের আগ্রাসন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা ও পুঁজিবাদবিরোধী ব্যাপক গণআন্দোলন দেশে দেশে গড়ে তোলা – মানবসভ্যতাকে রক্ষার জন্য কমিউনিস্টদের যথার্থ ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

অক্টোবর বিপ্লবের শততম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটি গঠিত

screen-shot-2017-05-22-at-8-52-14-pm copy২০১৭ সালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে মহান রুশ বিপ্লবের শততম বর্ষপূর্তি। মানবসভ্যতার ইতিহাসে যুগান্তর ঘটানো এই বিপ্লবটি উদযাপনের জন্য বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হচ্ছে নানান কর্মসূচি। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও লাল পতাকা মিছিলসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হবে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় রুশ বিপ্লবের শততম বর্ষপূর্তি উদযাপনের লক্ষ্যে সকাল ১১টায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ভাষাসংগ্রামী ও লেখক আহমেদ রফিকের যৌথ আহবানে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো, খালেকুজ্জামান, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জোনায়েদ সাকি, ফিরোজ আহমেদ, হামিদুল হক, মফিজুর রহমান লালটু, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম বাবলা প্রমুখ।

সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে তোপখানা রোডস্থ নির্মল সেন মিলনায়তনকে অক্টোবর বিপ্লবের শততম বার্ষিকী আয়োজক কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অক্টোবর বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির কাজকে সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি পরিচালনা পরিষদ গঠনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, এই পরিচালনা পরিষদ অচিরেই দেশের শ্রমিক-ছাত্র-নারীসহ পেশাজীবীসংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের সাথে বৈঠক করে অক্টোবর বিপ্লব বার্ষিকী উদযাপনের কর্মসূচি নির্ধারণ ও পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। বাংলাদেশে রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকীতে কয়েকদিন ব্যাপী জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করার জন্য শতবর্ষ উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও আহমদ রফিক সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রংপুরে কনভেনশন অনুষ্ঠিত

anu sir

ভারত কর্তৃক তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রসহ অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশের উপর তার প্রভাব ও আমাদের করণীয় শীর্ষক কনভেনশন ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রংপুর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কনভেশনে কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ। আলোচনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্র্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জল পরিবেশ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, বিশিষ্ট নদী গবেষক মাহবুব উদ্দিন সিদ্দিকী, কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. রেজাউল হক, সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রবীণ রাজনৈতিক কমরেড শাহাদৎ হোসেন সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহার আলী, অধ্যাপক আব্দুস সোবাহান, এ্যাড. মনির চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টুসহ বিভিন্ন বাম-প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু।

রাঙামাটিতে পাহাড়িদের বসতবাড়ীতে আগুন ও পুড়িয়ে হত্যার জন্য দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি

rangamatiগত ৪ জুন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে লংগদুতে পাহাড়ীদের ওপর হামলা ও বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেবার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন । তিনি বলেন, একজন আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকান্ডকে ঘিরে সেখানে যে তান্ডব চালানো হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আইন, আদালত আছে এবং তার মাধ্যমেই এর মীমাংসা কাম্য। সেটা না করে যেভাবে তাদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, যেভাবে তাদের উচ্ছেদ এবং হত্যা করা হয়েছে তা জাতিগত নিপীড়ন এবং বাঙালী জাত্যাভিমানের প্রকাশ। তিনি সেখানে প্রশাসনের ভূমিকারও নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এই ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ ধারা বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

Image 4 copy

সরকার জনগণের মতকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী কায়দায় নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান প্রযোজ্য রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ শীর্ষক বিলটি সংসদে পাশ করেছে। যে দেশে আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সকল মানব সন্তানকে শিশু বিবেচনা করা হয়, সে দেশে ১৮ বছরের নিচে বিয়ের বিধান রাখা মানেই শিশু বিবাহকে বৈধতা দেয়ার সামিল বলে আমরা মনে করি। সমাজের বিশেষ বাস্তবতা মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা ও নারীর অধস্তন অবস্থা বহাল রাখার লক্ষে ভোটের রাজনীতিকে সামনে রেখে মৌলবাদী দল ও গোষ্ঠীকে নিজেদের কাছে রাখার জন্যই এই আইন প্রণয়ন করেছে। সরকার একদিকে উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশনের শ্লোগান দিচ্ছে, আর অন্যদিকে নারীদের পশ্চাৎপদ সামাজিক অবস্থানকে পরিবর্তনের উদ্যোগ না নিয়ে আরো পশ্চাতে ঠেলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র এই আইন বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী স্বাক্ষরসংগ্রহ করেছে। ১৬ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ২১ মে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে “বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭” এর বিশেষ ধারা ১৯ বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনিদীপা ভট্টাচার্য, ঢাকা নগর শাখার দপ্তর সম্পাদক ইভা মজুমদার, সদস্য সুস্মিতা রায় সুপ্তি। সমাবেশ শেষে সভাপতি সীমা দত্তের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ইউজিসি’র ২০বছর মেয়াদী কৌশলপত্র বাতিলের দাবিতে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে উচ্চশিক্ষায় ৫গুণ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাতিল, শিক্ষা গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, পিপিপি-হেক্যাপ প্রকল্প বাতিল, ডাকসুসহ সকল প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও ইউজিসির ২০বছর মেয়াদী কৌশলপত্র বাতিলের দাবিতে ১৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কনভেনশন উদ্বোধন করেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান সাকন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।

উদ্বোধনের পর বেলা ১২ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অপরাজেয় বাংলা থেকে শুরু করে বাণিজ্য অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, টিএসসি, কাজী মোতাহার হোসেন ভবন, কার্জন হল হয়ে জিমনেসিয়াম মাঠে এসে শেষ হয়।

এরপর বেলা ৩টায় টিএসসি অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা করেন দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর, স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, সাপ্তাহিক ‘সাপ্তাহিক’ পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা, ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সবশেষে কনভেনশনের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা।

দুরন্ত শৈশব ও প্রাণবন্ত কৈশোরের আবাহনে শিশু কিশোর মেলার সদস্য সম্মেলন

mela-2 copy

এখন শিশুরা আনন্দ করার সময়টুকুও পায় না, স্কুল ও কোচিং এর চাপ এবং সৃজনশীল পদ্ধতির চাপে শিশুরা শৈশবের আনন্দটুকু পায় না। এখনকার শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা পায় না কারণ সমাজে তারা আর্থিক দৈন্য দশার মধ্যে দিনাতিপাত করে। সমাজে ধনী গরীবের বৈষম্য পাকাপোক্ত করতে তিন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে মাদ্রাসার শিক্ষার প্রভাব লক্ষণীয়। এত সব সমস্যার মূল কারণ নিহিত রয়েছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভ্যন্তরে তা আজ সকলকে বুঝতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রকৃত মানুষ তৈরী করা কিন্তু পুঁজিবাদ শুধু নিজের কারণে মানুষকে শিক্ষিত করে। সেই শিক্ষা একজন থেকে আরেকজনকে বিচ্ছিন্ন করে। বর্তমান শিক্ষা আমাদের বালুর মত আলাদা করছে, ঢেউয়ের মত একত্রিত করতে পারছে না। আমরা বালুর মত বিচ্ছিন্ন হব না, ঢেউয়ের মত একত্রিত হব। আন্দোলন ছাড়া এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের আর অন্য কোন পথ নেই। শিশু কিশোর মেলার সদস্য সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

গত ২৯ মার্চ ২০১৭, সকাল ১০ টায় শিশু কিশোর মেলার জাতীয় পর্যায়ে প্রথম সদস্য সম্মেলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুিষ্ঠত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১১ টায় শিশু কিশোরদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ, চারুকলা, সঙ্গীত, আবৃত্তি, ইতিহাস, সাহিত্য ও লিখন শৈলী, নাট্যকলা, বিতর্ক এবং অভিভাবকদের ছেলে-মেয়ে মানুষ করা প্রসঙ্গে মোট ১০ টি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন হয়। সারা দেশ থেকে ৮০ টির অধিক স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এসকল কর্মশালায় অংশ নেয়। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান প্রজেক্ট ও দেয়ালিকাসহ এসব কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। সবশেষে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে সঙ্গীত ও নাটক পরিবেশিত হয়।

রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণ

দেশে গোঁড়ামী, সাম্প্রদায়িকতার শিকড় উপড়ে ফেলে একটা মানবিক সমাজ গড়তে হলে আমাদের মহান চরিত্রগুলোর কাছে যেতে হবে। আমাদের দেশের সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে তিন মহান ব্যক্তিত্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য যাঁরা শুধু সাহিত্য রচনা করেই ক্ষান্ত হননি সমাজের প্রতিটি অন্যায়, অবিচার, অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। যখনি সমাজে কোন সংকট উপস্থিত হয়েছে তখনি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত তাঁদের সাহিত্য, কাব্য, গানের মাধ্যমে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বিশুদ্ধ সাহিত্য চর্চার নামে সমাজের ও দেশের সংকট এড়িয়ে চলেননি। এ কারণেই বৃটিশদের দেওয়া নাইট উপাধী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ত্যাগ করেন। দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিষবাষ্প দেখে লেখেন সভ্যতার সংকট। নজরুল বিদ্রোহের রণঝান্ডা নিয়ে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। সুকান্ত চূড়ান্ত অসাম্যের সমাজকে চূর্ণ করতে যৌবনকে জাগিয়েছেন।

এই মনীষীদের স্মরণে গত ১৯ মে নন্দনকাননস্থ ফুলকিতে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে রবীন্দ-নজরুল-সুকান্ত স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চারণ সংগঠক শাহীন মঞ্জুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর ইনচার্জ ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য সোমা, ওয়েলস থেকে আগত শিক্ষক ও সমাজকর্মী উইলিয়াম, চারণ সংগঠক মেজবাহ্ উদ্দিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর শিল্পীরা। ‘বিসর্জন’ নাটকের অংশ বিশেষ পাঠ করেন নাট্যকার তাপস চক্রবর্ত্তী।

মহান বিজ্ঞানী ডক্টর জামাল নজরুল ইসলাম স্মরণ

BpKT16hজামাল নজরুল ইসলাম বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি বিদেশের বিলাসবহুল জীবন এবং কর্মক্ষেত্রের অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা ছেড়ে মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরে আসেন। জামাল নজরুল ইসলামের যথার্থ মূল্যায়ন তখনই হবে যখন জাতি হিসেবে আমরা বিজ্ঞান মনস্ক ও দেশ প্রেমিক হয়ে গড়ে উঠবো। শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই নয়, তাঁর জীবন ও সংগ্রামের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে নিজেদের জীবনে। এই অঙ্গিকার নিয়ে বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র চবি শাখা এই মহান বিজ্ঞানীকে স্মরণ করেছে আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও রিটু রায়ের সঞ্চালনায় গত ২০মার্চ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জামাল নজরুল ইসলাম ভৌত বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র চবির পরিচালক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এস্ট্রোনমিকাল এ্যাসোসিয়েশনের মডারেটর ড. শরিফ মাহমুদ ছিদ্দিকী।

ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

17426076_1200190746764212_7001893187096842780_n copy

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরের সরকারি তৎপরতার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী)-র উদ্যোগে ১ এপ্রিল বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলের কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জহিরুল ইসলাম, মানস নন্দী, ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকার রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “প্রস্তাবিত নিরাপত্তা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের অস্ত্রবাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক-সামরিক পরিকল্পনার সাথে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। এদেশের সাধারণ মানুষের কোন স্বার্থ এতে নেই, ভারতের স্বার্থে তাদের প্রস্তাবে এ চুক্তি হতে যাচ্ছে। অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার স্বার্থে দেশের জন্য দীর্ঘস্থায়ী বিপদ ডেকে আনছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র নয়, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চায়। তিস্তার পানিবন্টনে কোন অগ্রগতি নেই, পদ্মায় ধূ-ধূ বালুচর, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সরিয়ে নেয়ার ফলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের মানুষের এ জীবন-মরণ সমস্যায় ভারত কোন ছাড় দিচ্ছে না। অথচ, মহাজোট সরকার ভারতের সমর্থন পেতে স্বল্প শুল্কে ট্রানজিট, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ নানা একতরফা সুবিধা তাদের দিয়ে চলেছে।” নেতৃবৃন্দ এধরনের জনস্বার্থবিরোধী চুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তাঁরা সরকারের এই পাঁয়তারার বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার থাকার আহবান জানান।

লুটপাট বন্ধ ও সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবিতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি

কৃষকরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সন্তানসম যত্নে ফসল ফলায়, গোটা দেশের মানুষের মুখের খাবার যোগায়। সেই কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য না পায় না। ফসল ভাল হলে সরকার বাম্পার ফলনের কৃতিত্ব দাবি করে কিন্তু কৃষকের বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়ায় না। এবারে উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার বিঘা জমির ধান নেক ব্লাস্ট রোগে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই রোগ নির্মূলে সরকার কার্যকরী কোন উদ্যোগ নেয়নি। বিএসরা কোন কৃষকের জমিতে যায়নি, করণীয় সম্পর্কে কোন পরামর্শ দেয়নি। এসব নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোন মনিটরিং নেই। ক্ষতিগ্রস্থ ও ক্ষুব্ধ কৃষকদের সাথে নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখা নেক ব্লাস্ট রোগে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ, কৃষক ও ক্ষেমজুরদের জন্য আর্মি রেটে রেশন প্রদানের দাবিতে গত ১৫মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও ও ডিসির মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে। সংগঠনের জেলা আহবায়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক ফ্রন্টের জেলা সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দুলাল হোসেন, আতাউর রহমান, নজরুল ইসলাম, তপন চন্দ্র রায় প্রমুখ।

এদিকে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয়ের টাকা লুটপাট বন্ধ, হাটে হাটে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, কৃষকের নামে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২২ মে গাইবান্ধা শহরেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট এবং বাসদ(মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা শাখা এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের ১নং রেলগেটে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মাকর্সবাদী) জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, সদস্য সচিব মঞ্জুর আলম মিঠু, কৃষক ফ্রন্ট সদর উপজেলা সভাপতি প্রভাষক গোলাম সাদেক লেবু, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান, বজলুর রহমান প্রমুখ।

১৬০০০ টাকা নিম্নতম মোট মজুরী, ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে মহান মে দিবস পালিত

13100856_1103949446337530_5288404392978591226_n copy

মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে ১ মে সকাল ১০টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক মিছিল বের হয়ে পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে আবার সংগঠন কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ডা. মুজিবুল হক আরজু প্রমুখ। একই দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় ফেডারেশনের উদ্যোগে মে দিবস পালিত হয়।

রমেল,ইতি ও ছাদিকুল হত্যার ন্যায় বিচারের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল

রমেল চাকমা, ইতি চাকমা ও মোটর সাইকেল চালক ছাদিকুল হত্যার বিচারের দাবীতে গত ৭ মে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং কি সারা দেশে সামরিক বাহিনী, দুর্বত্তদের হাতে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চলছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। যারা দেশের রক্ষক তারাই মানুষ মারার হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হচ্ছে। তনু, রমেল হত্যা তারই প্রমাণ। পেটের দায়ে মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালাতো ছাদিকুল। দুর্বৃত্তদের হাতে তাকেও প্রাণ হারাতে হল। খাগড়াছড়ি কলেজের শিক্ষার্থী ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের বেশ কয়েক মাস হলেও অপরাধী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতি চাকমা নিজবাড়িতেই খুন হন দুর্বৃত্তের হাতে। এভাবে একের পর এক হত্যাকান্ড চলছে এবং অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বক্তারা সমাবেশ থেকে এইসব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবী জানান। সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্ট শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম কৃষ্ণ দে’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শহর শাখার আহ্বায়ক কবির হোসেন, সদস্য স্বাগতম চাকমা।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments