১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর রাশিয়ায় শোষণমূলক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদ করে দুনিয়ায় প্রথম শ্রমিক শ্রেণীর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দুনিয়া কাঁপানো সে অভাবনীয় কর্মযজ্ঞের জীবন্ত সাক্ষী হয়তো কেউ বেঁচে নেই। কিন্তু এর আলো যাদের জীবন ভরিয়ে তুলেছিল তাদের অনেকে সে সুখস্মৃতি নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। বর্তমানের দুঃস্বপ্ন ভরা রাতে ফেলে আসা দিনগুলো তাদের স্মৃতিতে বারেবারে ফিরে আসে। কর্মহীন, উদ্যমহীন, আশাহীন, নিষ্প্রাণ জড়ের মত দিন কাটানো মানুষগুলো সেদিন নতুন দুনিয়ার জন্ম দিয়েছিল। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কা যাকে প্রতি মুহূর্ত তাড়িয়ে বেড়ায়, সে বেকার যুবকের কাছে মনে হয় এ যেন এক রূপকথার গল্প। বিপ্লব বেকারত্বের গ্লানির সমস্ত চিহ্ন মুছে দিয়েছিল। যুগের পর যুগ ভারবাহী পশুর মত কাজের বোঝা টেনে নিষ্ফলা শ্রমভারে পিষ্ট শ্রমিক কিভাবে সৃষ্টির আনন্দে মেতে উঠেছিল, সে কথা আজ ক’জন জানে। শোষণের অবসান ঘটিয়ে সম্পদের স্রাষ্টা সেদিন হয়ে উঠেছিল সম্পদের আসল মালিক।
আমাদের যা প্রয়োজন, আমরাই জোগাড় করি
বিপ্লবোত্তর রাশিয়ায় কেমন ছিলেন তার বর্ণনা করে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ বলেন, মাসে দেড়শ রুবল বেতনে আমাদের ভালোভাবেই চলে যেত। ফ্ল্যাটের ভাড়া দিতাম মাইনের ৩ পারসেন্ট। চার কামরার ফ্ল্যাট, সেন্ট্রাল হিটিং অর্থাৎ তাপ নিয়ন্ত্রিত, টেলিফোন, গ্যাস, ফার্নিচার সমেত। সরকার থেকে বেধে দেওয়া ভাড়া। প্রতিমাসে যত ইচ্ছা গ্যাসের জন্য চার্জ ২২ কোপেক, বিদ্যুৎ এক ইউনিট ২ কোপেক, টেলিফোন মাসে ২ রুবল(যত ইচ্ছা লোকাল কল), দেশলাই এক কোপেক, মেট্রো রেলের ভাড়া ৫ কোপেক(এক টিকেটে যত ইচ্ছা ভ্রমণ), সারা মাসে বাস ভাড়া ৬ রুবল, রুটি ৪ কোপেক, দুধ ৬০ কোপেক, চাল ৩ রুবলে ১০ কেজি।
শহরতলীর নোংরা পরিবেশে অপরিসর ছোট বস্তিতে ঘাড় গুঁজে থাকা শ্রমিক পরিবার মাত্র পনের বছরেই স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন খুঁজে পেয়েছিল। বিপ্লব তাদের শিখিয়েছিল, শোষণের ব্যবস্থা থাকলে শ্রমিকের জীবনে নেমে আসে দারিদ্র-অভাব- বঞ্চনা। দিনে দিনে বৈষম্য হয় আকাশ-পাতাল। বিপ্লব তাদের শিখিয়েছিল, সম্পদ সৃষ্টি করে কারা? লুটে নেয় কারা? সম্পদের শ্রষ্টা শ্রমিক। দাস যুগে দাস শ্রমিকরা বিশাল সম্পদশালী মিশরীয়, ব্যাবিলনীয়, গ্রীক ও রোমান সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। সামন্তীয় প্রথাকে ভিত্তি করে ভারতে ও চীনে বিপুল সম্পদ সৃষ্টি হয়েছিল। পুজিপতিরা কি নিজেরা টাকা খাটায়, তারা তো ৮০% পুজি নেয় জনসাধারণের জমা করা টাকা থেকে। তীব্র শোষণ চাপিয়ে সৃষ্ট সম্পদ লুটে নেয়। আর এ ব্যবস্থা বদলে সমাজতন্ত্রে সম্পদের স্রাষ্টা হয়ে উঠল সম্পদের মালিক।
১৯৩২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে বেকার সমস্যা নেই। নারী-পুরুষ সবাই কাজ করে। সপ্তাহে পাঁচ দিন, দিনে সাত ঘন্টা। সোভিয়েত ইউনিয়নের আইন হল ‘যে কাজ করবে না, সে খেতেও পারবে না’। প্রত্যেক শ্রমিক সামাজিক বীমার দ্বারা সুরক্ষিত। এই সুরক্ষা এতই যে হাসপাতাল, বার্ধক্য ভাতা, স্যানেটরিয়ামে চিকিৎসা, বিশ্রামাগার, বয়স্ক শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে যত টাকা ব্যয় হয় তা বেতন বাবদ জাতীয় খরচের চল্লিশ শতাংশের বেশি। শুধু শ্রমিক নয়, তার পরিবারের সবাই এই সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। পুরোনো বীভৎস বস্তিগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তার জায়গা নিয়েছে আধুনিক অট্টালিকা। বড় বড় ঘর, বড় বড় জানালা, আলো বাতাস অবাধে খেলা করছে, আধুনিক বাথরুম, বিদ্যুৎ কি নেই সেখানে। কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, হাসপাতাল – সবই তৈরী হয়েছে এ নতুন আবাসনগুলোতে।
কাজ যেখানে বোঝা নয়, সৃষ্টির আনন্দ
“……… সে এক কুরুক্ষেত্র কান্ড। প্রথম সোভিয়েত কনভেয়রের জন্য লড়াই। কনভেয়র তৈরী করতে আমেরিকার লেগেছিল এক পুরুষ। এখানে লড়াই করে দ্রুতভাবে তা জয় করা হল। স্ট্যালিনগ্রাদ ট্রাক্টর কারখানা গড়তে অনেকের জীবন গিয়েছে, যৌবন নষ্ট হয়েছে। গ্রীষ্মকালের গরমে ইস্পাত গলানো উনুনের কাছে বড় বড় জোয়ানরা মূর্ছা গিয়েছে। ৭ নং যন্ত্র বিগড়ে যাওয়ায় কারখানার কাজ বন্ধ হয়ে গেলে জিভকোচিভ, কোর্ভাট আর নিনচাক বলে তিনজন শ্রমিক না ঘুমিয়ে একটানা ষাট ঘন্টা পরিশ্রম করেছে সেটা সারানোর জন্য। সারানো যখন শেষ হল, তাদের জয়লাভ হল যখন, তখন তারা আধমরা অবস্থায় টলছে। তাদের কাজের জন্য তারা হাততালি পেল, পদক পুরষ্কার পেল। এসবকে কাজ বলা চলে না – এ রীতিমত লড়াই”। এ হল বিপ্লবের পরে নতুন রাশিয়ার শ্রমিক। কাজ করে তারা আনন্দ পায়, কাজের মধ্যে একেবারে ডুবে থাকে। কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন, কাজ করা তাদের গৌরব। কাজ তাদের চ্যালেঞ্জ জয় করার হাতিয়ার। কার্ল মার্কস বলেছিলেন, “শ্রমই সংস্কৃতি”। রাশিয়ার বিপ্লবী শ্রমিকদের বিশাল এই কর্মযজ্ঞে এই সংস্কৃতির রূপ ফুটে উঠেছিল।
এ রকম কর্মচঞ্চল অসংখ্য ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠেছিল রাশিয়ার বুকে। মার্কিন সাংবাদিক আনা লুইস ষ্ট্রং তাঁর ‘ষ্ট্যালিন যুগ’ বইতে তেমন একজনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন – “বিল্ স্যাটফ তার একটা নমুনা। তাকে দেখলাম, নবোসিবিরস্কের এক হোটেলে রোগশয্যায় পড়ে আছেন। তিনি রেলপথ তৈরী করছিলেন; রেলের জন্যে, সিমেন্টের জন্যে, শ্রমিকের জন্য লড়াই করতে করতে অতি পরিশ্রমের ফলে তার চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসা করলাম “স্ত্রীকে এনে, ঘরের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন না কেন? নিয়মিত খাওয়া দাওয়া, নিয়মিত বিশ্রাম পেতে পারেন তা হলে।” বিল্ আমার দিকে চেয়ে রইলেন, “জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস হল কাজ। ঠিক কাজ নয়, সৃষ্টি। এই যে সময়টাতে আমরা বেঁচে আছি, এসময়ে অন্তহীন, সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে সৃষ্টি করার। বউকে খুশি করতে, সময়মত খেতে আসার জন্যে এ সময়ের একটা ঘন্টাও নষ্ট হতে দেওয়া যায় কি?”
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
সামাজিক স্বার্থে আত্মবলিদানে সমাজতান্ত্রিক প্রতিযোগিতা গড়ে তুলে, শ্রমিকদের মধ্যে এ আত্মত্যাগী মানসিকতা, ক্লান্তিহীন শ্রমের চেতনা সৃষ্টি হয়েছিল। কারখানার কোন ঘর কাজে পিছিয়ে পড়লে তার বাইরে সেঁটে দেয়া হত একটা জ্যান্ত উটের ছবি। সে চিহ্ন দেখে শক্ত লোকেরা কষ্টে চোখের জল সামলাত। যারা যথাসাধ্য কাজ করেছে তারা ফুঁপিয়ে কাঁদত, কারণ তাদের ঘর যথাসাধ্য কাজ করতে পারেনি। তারা দ্বিগুণ জেদ নিয়ে ঘর যাতে আরও বেশী কাজ করে, তার চেষ্টা করত। রাশিয়ার বড় রাস্তার স্কোয়ারে লক্ষ্য অজর্নের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হত। সামনে লাল আর কালো বোর্ডে সমস্ত লেখা আর সংখ্যার সামনে লোক ভীড় জমাত। কালো বোর্ডটা দেখে শেয়ারবাজারের সেই কালো বোর্ডগুলোর কথা মনে হতে পারে, যেখানে শেয়ারের শেষ দামটা টোকা থাকে। কিন্তু মজুরের পোষাক পরা যে লোকগুলো তার সামনে ভীড় করতো, তাদের মোটেই শেয়ার বাজারের উত্তেজিত গোলগাল দালালদের মত দেখাত না। আসলে সে দেশটা তার সমস্ত অধিবাসী সমস্ত লোকদের নিয়ে মস্ত এক অংশীদারী কোম্পানীর মত। কালো বোর্ডটা যদি কানায় কানায় লেখায় ভরে ওঠে, তার অর্থ হবে দেশের মরণ। যদি ভরে ওঠে লাল বোর্ডটা তার মানে দাঁড়াবে বিজয়। এ এক মহাদ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্ব শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আনে মরণপণ লড়াইয়ের চেতনা।
কার আগে কে দেবে প্রাণ, এ নিয়ে কাড়াকাড়ি
রাশিয়ায় এভাবে অনেক কর্মবীরের সৃষ্টি হয়েছিল। তাদের একজন ছিল স্তাখানভ। স্তাখানভ ছিল কয়লা খনির শ্রমিক। সৃজনশীল পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদনে অবিশ্বাস্য কীর্তি স্থাপন করেছিল। তার নামে সারাদেশে স্তাখানাভাইট মুভমেন্ট দাঁড়িয়ে গেল। আর একজন মারি দেমচেঙ্কো। সে একটা যৌথ খামারে চিনি বিট জন্মাতো। সে দেশটাকে চিনিবীটে ভরিয়ে দেয়ার শ্লোগান তুলে প্রতি একরে ২০ টন বীট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা স্থির করল। শত শত খামার পাল্লা দিতে এগিয়ে এল, হাজার হাজার দর্শক মারির দলের কাজ করা দেখল, লক্ষ লক্ষ পাঠক উদগ্রীব হয়ে তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অভিযান লক্ষ্য করতে লাগল। মারির দল ন’বার মাঠে নিড়ানি দিল, আটবার রাত্রে আগুন জ্বালিয়ে গাছের ক্ষতিকারক উড়ন্ত পোকা নষ্ট করল। বৃষ্টি হলো না দেখে ফায়ার ব্রিগেড ডেকে মাঠে বিশ হাজার বালতি পানি ঢালল। প্রতি একরে ২১ টন বীট ফলিয়ে মারির দল সমগ্র জাতির উচ্ছসিত অভিনন্দন লাভ করল। মারির দলকে মস্কোতে নিমন্ত্রণ করে স্ট্যালিন বললেন, “তোমরা এখন নেতা”। জিজ্ঞেস করলেন, সে কি পুরষ্কার চায়। বাড়ি গাড়ি নয়, মারি জানালো, বীট সম্মন্ধে গবেষণার জন্য সে একটা বৃত্তি পেতে চায়। শ্রমিকদের চিন্তায় এ ছিল তখন নেতৃত্ব ও আদর্শবোধের ধারণা
মানুষ কেবল রুটি পেলে বাঁচতে পারে না
সমাজতন্ত্র চেয়েছে সবাইকে মানুষ করে তুলতে। খাদ্যের সন্ধানে যারা দিন রাত পশুর মত ছুটতো, হাড়ভাঙ্গা খাটুনির ক্লান্তিকর জীবনে যাদের ভাববার এতটুকু অবসর ছিল না, তাদের নতুন জীবনের আস্বাদ দিয়েছে। তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল শিল্প সাহিত্যে বহুমূল্য রত্নসম্ভার। রাশিয়াকে গড়ে তুলতে চেয়েছে এমন দেশ, যেখানে আলাদা কোন শিক্ষিত সমাজ নেই, নেই আলাদা সংস্কৃতিবান শ্রেণী।
রবীন্দ্রনাথ রাশিয়া থেকে ফিরে বললেন, “১৯১৭ খ্রীস্টাব্দে সোভিয়েত শাসন প্রবর্তিত হবার পূর্বে যে সব দর্শক এই রকম গ্যালারিতে আসত তারা ধনী মানী জ্ঞানী দলের লোক এবং তারা যাদের এরা Bourgeois অর্থাৎ পরশ্রমজীবি বলে। এখন আসে অসংখ্য সশ্রমজীবি দল যথা রাজমিস্ত্রী, লোহার মুদি, দর্জি ইত্যাদি। আর আসে সোভিয়েত সৈনিক, সেনানায়ক, ছাত্র এবং চাষী সম্প্রদায়।”
তিনি লিখেছেন, “আমি যেদিন অভিনয় দেখতে গিয়েছিলুম সেদিন হচ্ছিল টলস্টয়ের ‘রেজারেকশন’। জিনিসটা জনসাধারণের পক্ষে সহজে উপভোগ্য বলে মনে করা যায় না। কিন্তু শ্রোতারা গভীর মনোযোগের সঙ্গে সম্পূর্ণ নিঃশব্দে শুনছিল। অ্যংালো-স্যাক্সন চাষী মজুর শ্রেণীর লোক এ জিনিস রাত্রি একটা পর্যন্ত এমন স্তব্ধ শান্তভাবে উপভোগ করছে এ কথা মনে করা যায় না, আমাদের দেশের কথা ছেড়েই দাও।”
‘….. আর একটা উদাহরণ দিই। মস্কো শহরে আমার ছবির প্রদর্শনী হয়েছিল। লোকের ঠেলাঠেলি ভিড়। যে যা বলুক অন্তত আমি তো এদের রুচির প্রশংসা না করে থাকতে পারবো না।’ শেষে তিনি মন্তব্য করলেন, যে দেশে অর্থ ও শক্তির অধ্যবসায় ব্যক্তিস্বার্থ দ্বারা বিভক্ত সেখানে এরকম চিত্তের নিবিড় ঐক্য অসম্ভব।
আজ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে যখন আবার পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন কি চেহারা নিয়েছে এ দেশ। রাশিয়ায় আজ ৪০ লক্ষ লোক রাস্তায় বাস করে, ৫০ লক্ষ শিশু গৃহহীন, ৩০ লক্ষ মা-বোন পতিতাবৃত্তিতে নিযুক্ত, ১০ লক্ষ মহিলা অভিবাসী শ্রমিক, মাদকাসক্ত ৫০ লক্ষ মানুষ। ৬০ লক্ষ এইডসে আক্রান্ত। গোটা সমাজ আজ দুর্নীতির পঙ্কে নিমজ্জিত। জাতিগত- সাম্প্রদায়িক বিভেদ-হানাহানি নিত্য ঘটনা। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে পুঁজিবাদী ধ্যান-ধারণা প্রবর্তিত করে ধীরে ধীরে শোধনবাদী পথে পরিচালিত হবার ফলে শ্রমজীবি মানুষের জীবনে এ অন্ধকার নেমে এসেছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সমস্ত দুঃসহ যন্ত্রণা আরো ভয়াবহ রূপে ফিরে এসেছে। এ পরিস্থিতিতেও সেখানে আবার গোটা দুনিয়ার মত শ্রমজীবি মানুষ সংগঠিত হচ্ছে। লেনিন স্ট্যালিনের শিক্ষায় সঠিক পার্টি গড়ে তুলছে। রাজপথে মহান নেতাদের ছবি হাতে নিয়ে সংগ্রামী শ্লোগান তুলছে।
সহায়ক গ্রন্থ :
১. স্ট্যালিন যুগ — আনা লুইস স্ট্রং
২. রাশিয়ার চিঠি — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩. গোত্রান্তর – ব্রুনো ইয়েসেনস্কি
৪. ফিরে দেখা – ইরিনা স্কায়াতিনা