“সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে ধ্বংস হচ্ছে মনুষ্যত্ব, বিবেক, মানবতা। একমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, ধর্ষনের শিকার হয়েছে মা-বোনেরা। ভোটের রাজনীতির স্বার্থেই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরী করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, উদাসীনতা এ পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আজ সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন গণতন্ত্রমনা মানুষকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণকমিটি গড়ে তুলতে হবে।”
পথিকৃৎ পাঠাগার(কোতোয়ালী), সূর্যসেন পাঠাগার, ক্ষুদিরাম পাঠাগার, কাজী নজরুল পাঠাগার, পথিকৃৎ পাঠাগার(ডবলমুরিং) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তারা এই কথা বলেন। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দাঁড়াও এই আহ্বান সামনে রেখে চট্টগ্রামের শহরের বিভিন্ন পাড়া ও থানা ভিত্তিক পাঠাগারগুলোর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সূর্যসেন পাঠাগারের সভাপতি অচ্যুতানন্দ লিটন এর সভাপতিত্বে ও পথিকৃৎ পাঠাগারের (কোতোয়লী) সাধারণ সম্পাদক বিশুময় দেব-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পিত চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক সঞ্জীব বড়ুয়া, নাট্যজন এড. দীপক চৌধুরী, বিজিসি ট্রাস্টের সহকারী অধ্য্পক ডা. নন্দন কুমার মজুমদার, খেলাঘর সংগঠক এরশাদ হোসেন, চুয়েট এর সহকারী অধ্যাপক রিগ্যান মজুমদার, ডা. উজ্জ্বল চক্রবর্তী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, পাঠাগারের উপদেষ্ঠা আশীষ নন্দী, রুবেল বিশ্বাস। সংহতি জানিয়েছেন চ.বি. চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক নাসিমা আক্তার রুবী, কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ ডা. ঋষিন দস্তিদার, ডা. যীশুময় দেব।
উপস্থিত থাকতে না পারলেও সংহতি জানিয়েছেন সূর্যসেন পাঠাগারের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট লেখিকা অধ্যাপিকা ফেরদৌস আরা আলীম, বিশদ বাংলার পরিচালক আলম মোরশেদ, ডা. শ্রাবনী চক্রবর্তী, ডা. নাঈমা আলীম মমি, ডা. উম্মে ফাতেমা, ডা. ঋতুরাজ চক্রবর্তী, ডা. বিপ্লব ভট্টাচার্য।