সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১১তম সম্মেলন ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল সাড়ে ১১টায় ঐতিহাসিক অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সালমান সিদ্দিকী সভাপতি এবং প্রগতি বর্মণ তমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে অন্যরা হলেন সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোকন মোহন্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির, দপ্তর সম্পাদক নিখিল চন্দ্র নাথ, অর্থ সম্পাদক রাসেল আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বার বাড়ৈ, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক শুভ্রনীল রায়, স্কুল ও ক্রীড়া সম্পাদক হিমেল ঠাকুর, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রুবেল ইসলাম, সদস্য অপু রায় ও আমজাদ হোসেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মজুমদার এবং সঞ্চালনা করেন ১১তম সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আলমগীর কবির। সম্মেলনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুজ্জামান সাকন, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। সকাল সাড়ে ১১টায় নাঈমা খালেদ মনিকা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরে একটি সুসজ্জিত র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষীণ শেষে পুনরায় সম্মেলন স্থলে মিলিত হয়।
আলোচনায় সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, “পত্রিকার পাতা ওল্টালেই ব্যাংক দুর্নীতির খবর, চাকরির অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ক্যাম্পাসে আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা — এসব দেশের বর্তমান সংকটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। অথচ সরকার বলছে দেশে নাকি উন্নয়ন হচ্ছে। মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সম্পদকে লুট করে অল্প কয়েকজনের উন্নতি হচ্ছে। এর প্রভাব শিক্ষার উপর এসে পড়ছে। ফলে বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ বজায় রাখতে ডাকসু অচল রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে।”
নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন,“দীর্ঘ দিন ধরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আজকের এই সম্মেলনেও সেই তাৎপর্য রয়েছে। যখন শিক্ষার্থীদের জীবন মতাসীনদের হাতে জিম্মি, মতপ্রকাশের সুযোগ যেখানে অনুপস্থিত সেখানে একজন ছাত্র কি চুপ করে থাকতে পারে? তার দাবি, তার সংকট নিয়ে সে লড়বেই। তাই ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্ররা মাঠে নামবেই। এটা তাদের নৈতিক অধিকার। সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে আগামী দিনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”
সমাপনী বক্তব্যে ইভা মজুমদার নতুন কমিটির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ক্যাম্পাসের যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেন শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এগিয়ে আসেন – সেই প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।