সিরিয়ায় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
১৫ এপ্রিল ২০১৮ বিকেল ৪ টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার এক বৈঠক গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাম মোর্চর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। এই বৈঠক থেকে সিরিয়া পরিস্থিতির ওপর এক যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “ যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একযোগে সিরিয়ায় রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোমা হামলা চালায়। গত ১০ এপ্রিল ভোর থেকে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ১০০ টির বেশি এয়ার-গ্রাউন্ড শ্রেণির ক্ষেপনাস্ত্র বোমা হামলা চালায় তারা। হামলার কারণ হিসেবে তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ কর্তৃক সিরিয়ার দুমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগ করেছে। OPCW -এর পরিদর্শক দল সিরিয়ায় পৌছেছে, তাদের তদন্তের জন্য পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়নি। সিরিয়ার সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে, সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া বলেছে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে বৃটিশ গোয়েন্দাদের যোগসাজশে কারা কিভাবে রাসায়নিক হামলার নাটক সাজিয়েছে। বিদ্রোহীদের পক্ষের সূত্র উদ্ধৃত করে কর্পোরেট মিডিয়া নিজস্ব কোন অনুসন্ধান ছাড়াই রাসায়নিক হামলার খবর ও ছবি প্রচার করেছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,“ যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো আজ অস্ত্রের ব্যবসা করে তাদের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। এ জন্য দুনিয়াব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরি করা খুবই প্রয়োজন। এমন তীব্র সংকটাপন্ন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেখানে আইএস নামের জঙ্গী সংগঠন বিস্তৃত হয়েছে, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-অস্ত্র সাহায্য নিয়ে আসাদ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। যুদ্ধের কারণে এ পর্যন্ত ৭ লক্ষের বেশি সিরিয়ান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। আমরা এমন বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সা¤্রাজ্যবাদের যুদ্ধ উন্মাদনার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে সোচ্চার হবার আহ্বান জানাই।”