বিভাগীয় স্টেডিয়ামের রাস্তা সম্প্রসারণের নামে লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিকদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি সিলেট জেলা শাখার উদ্দ্যোগে ১০মার্চ ’১৪ সোমবার বিকাল ৪ টায় সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায় এবং পরিচালনা করেন বাসদ সিলেট জেলার সদস্য সুশান্ত সিনহা সুমন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলার সদস্য এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হৃদেশ মুদি, চা শ্রমিক ফেডারেশন লাক্কাতুরা চা বাগান শাখার আহ্বায়ক বীরেন সিং, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক আজিরুন বেগম, মলিন দাস, লাংকাট লোহার, বিদ্যুৎ কান্তি দে, আমেনা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পরিবার নিয়ে অবস্থিত লাক্কাতুরা চা বাগান। আর চা শিল্পের বাস্তব অবস্থার কারনেই বাগানে চা শ্রমিকদের অবস্থান অবশ্যম্ভাবি। তাই যে দিন থেকে চা বাগান আছে সেদিন থেকে চা শ্রমিকরাও সেখানে বসবাস করছেন। কিন্তু লাক্কাতুরা চা বগানে বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মান কালে বহু শ্রমিক পরিবারকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরন প্রদান করা হয় নি। এরই মধ্যে আবার বিভাগীয় স্টেডিয়ামের রাস্তা সম্প্রসারনের নামে আরোও শ্রমিক পরিবারকে ভূমি থেকে উচ্ছেদের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ভাঙ্গা হচ্ছে শ্রমিকদের ঘরবাড়ি। কেটে নেয়া হচ্ছে শ্রমিকদের লাগানো বিভিন্ন গাছপালা। অথচ এরই মধ্যে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মহা আড়ম্বরে বিভাগীয় স্টেডিযামের উদ্বোধন করে উন্নয়নের কৃতিত্ব নিলেন কিন্তু এর আড়ালে চাপা পড়ে গেল চা শ্রমিকের ভূমি হারানোর বেদনা। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী দেশপ্রেমের যত কথাই বলেন না কেন তা আসলে শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধেই যায়, লাক্কাতুরার এই ঘটনা তাই প্রমান করে। বক্তারা দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়ন করে ক্ষতিপূরন ও পূর্নবাসন করতে হবে, কোন অজুহাতে বাগানের জমি অন্য খাতে বরাদ্দ দেয়া যাবে না, বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নানা কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুযায়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাগানের শ্রমিক ও যুবকদের নিয়োগ দিতে হবে, সকল সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে শ্রমিকদের সামনে ঘোষনা করতে হবে। অন্যথায় বাগানের শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।