গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার, বিচার এবং জঙ্গী দমনের নামে গ্রেফতারকৃতদের ক্রসফায়ারের সমালোচনা করেন এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরার জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘প্রতিদিনই লোমহর্ষক হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা সহ গত ২ বছর ধরে ধারাবাহিক এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার পর দোষারোপ করে সরকারের মন্ত্রীসহ নেতারা সরব হয়ে ওঠেন, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের বিষয়ে ততটাই নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা। ফলে নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের উদ্যোগে জনগণ আশ্বস্ত না হয়ে বরং আরো আশংকার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির চূড়ান্ত দমন-পীড়নের ফ্যাসীবাদী শাসন পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে পরিচালিত আগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের মধ্যেই শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদেই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিস্তার ঘটেছে। ফলে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ও সাম্প্রদায়িকতার উচ্ছেদ ঘটাতে প্রতিরোধ আন্দোলন একই সাথে গড়ে তুলতে হবে।’ নেতৃবৃন্দ ২০ রোজার পূর্বেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানান।
২০ জুন সোমবার বিকেল ৩টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সভা বাসদ(মার্কসবাদী) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মানস নন্দী সভায় উপস্থিতি ছিলেন সাইফুল হক, মোশাররফ হোসেন নান্নু, আব্দুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু, হামিদুল হক, মহিনউদ্দিন লিটন, শহিদুল ইসলাম সবুজ, উজ্জল রায়, ফখরুদ্দিন কবির আতিক ও মো আকবর খান।