গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হরতাল কর্মসূচী শেষে গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি বাতিলের দাবিতে ১৫ মার্চ জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও ১-১৫ মার্চ পক্ষব্যাপী দেশব্যাপী প্রচারাভিযানের কর্মসূচি দিয়েছে।
গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহুত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ৬টা থেকে ১২টা হরতাল পালিত হয়। হরতাল শেষে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা পক্ষ থেকে হরতালে সরকারি বাহিনীর হামলা-গ্রেফতারের নিন্দা জানানো হয় ও অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করা হয়। হরতাল সফল করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে বাম মোর্চা ঘোষিত আগামি ১৫ মাচের্র জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও ১-১৫ মার্চ পক্ষব্যাপী প্রচারাভিযানের কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।
২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বাম মোর্চার নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করছিলেন। শাহবাগে ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরাও সকাল থেকেই হরতাল সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ সহকারে অবস্থান করে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শেরাটন মোড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করে এবং শাহবাগ অবরোধ করে। পুলিশ শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, জলকামান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, লাঠিচার্জ করে তারা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করে। উল্লেখ্য গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ডাকা হরতালে শাহাবাগে পিকেটিং চলাকালিন সময়ে আওয়ামী মহাজোট সরকারের পেটোয়া পুলিশবাহিনী সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা, দপ্তর সম্পাদক ভজন বিশ্বাস, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, নয়ন দাস, আলমগীর কবির ও মিরপুর থানার সংগঠক জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্স, রাহাত আহম্মেদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের পলাশকে গ্রেফতার করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতাল সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাম মোর্চার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা সাইফুজ্জামান শাকন, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক প্রমুখ। কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়কারী ফিরোজ আহমেদ ও সমাবেশ পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ।