সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও নারীর ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ১৭ জানুয়ারি ’১৪ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক বিউটি আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আফসানা বেগম লুনা, ঢাকা নগর কমিটির সদস্য সুস্মিতা রায় সুপ্তি। সভা পরিচালনা করেন দপ্তর সম্পাদক তাসলিমা নাজনীন সুরভী।
বক্তারা বলেন, যশোর, দিনাজপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মন্দির ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং নারী ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার পেছনের প্রধান কারণ বুর্জোয়া দলগুলোর ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির দ্বন্দ্ব। প্রতিবার নির্বাচনের আগে এবং পরে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতা বহির্ভূত সকল বুর্জোয়া ও মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক দলগুলোর নিপীড়নের শিকার হয় হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যত ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার কোনো বিচার হয়নি। বরং যে দলই সরকারে থেকেছে তারাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি লুট করেছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিশেষ শিকার হয় নারীরা। যশোরে দুই নারীকে ধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। স্বাধীনতার পর দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ, লাগাতার সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয়ে বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯ শতাংশে। সাম্প্রদায়িক হামলার অন্যতম কারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং তাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে জড়িত সরকারী ও বিরোধী দলগুলোর সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি যে বুর্জোয়া রাজনীতির শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্পদায়ের জনগণ তাদের এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্যও গণতন্ত্রমনা, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক জনগণের আহ্বান জানান।