গত ২৭ জানুয়ারি ছিল বাসদ মোহাম্মদপুর থানা শাখার প্রাক্তন নেতা ও তৎকালীন শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড নুরুল ইসলাম রঞ্জুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। কমরেড রঞ্জু ছিলেন সরাসরি শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে থেকে উঠে আসা একজন নেতৃস্থানীয় শ্রমিকনেতা যিনি আমৃত্যু বিপ্লবী আন্দোলনে নিজেকে সক্রিয় রেখেছিলেন এবং চরিত্রের বলিষ্ঠতা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে দলে টেনেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক আগারগাঁও বিএনপি বস্তি উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলনে তিনি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
কমরেড রঞ্জুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাসদ মোহাম্মদপুর থানা শাখার উদ্যোগে এক স্মরণসভা গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁও বিএনপি বাজারে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় বাসদ সংগঠক ও কমরেড রঞ্জুর ভাই কামরুল ইসলাম, পরিচালনা করেন থানা বাসদ সংগঠক মর্জিনা খাতুন। বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, স্থানীয় বাসদ নেতা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কমরেড রঞ্জুর শুভাকাঙ্খী অধ্যাপক আশরাফ আলী, আবদুল আজিজ, ডা. এস এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন কমরেড রঞ্জুর স্ত্রী রীনা বেগম এবং তাঁর সন্তান সাম্য।
মানস নন্দী বলেন, “কমরেড রঞ্জু কৈশোরেই গাইবান্ধায় বাসদ-এর সংস্পর্শে এসে সমাজতন্ত্রের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং আজীবন গরিব মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। সবসময় দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করলেও কখনো দলের কাছে কিছু চাননি। পুঁজিবাদী শোষণের নির্মম রূপ নিজের জীবন দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের হাতিয়ার বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার তাগিদ তাঁকে তাড়িত করতো। ঢাকায় প্রথমে রিকশা ও পরে সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি সর্বক্ষণ তাঁর চিন্তা ছিল কীভাবে দলের কাজ এগিয়ে নেয়া যায়। দলের শিক্ষায় এবং নিজের সংগ্রামে অর্জিত দৃঢ় চরিত্র, মাধুর্যপূর্ণ ব্যবহার, বিনয় দিয়ে আশেপাশের মানুষকে আলোড়িত করেছেন, সংগঠিত করেছেন।”
নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, কমরেড শিবদাস ঘোষের বই তিনি নিয়মিত পড়তেন এবং এসব লেখা তাঁর চরিত্র ও রাজনৈতিক জ্ঞান গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।