সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন এবং সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু এক যুক্ত বিবৃতিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি চলমান হল উদ্ধার আন্দোলনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের উপর পুলিশের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কোনো হল নেই। অথচ এখানে ২১ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। গত ৫ বছর ধরে হলের দাবিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।বারে বারেই শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানিয়েছে আর প্রশাসন বেকায়দায় পড়ে নানা রকমের আশ্বাস দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে। কিন্তু প্রশাসনের এই বক্তব্য যে শুধুমাত্র কথার কথা তার প্রমাণ গত ৫ বছরে হলের সামান্যতম কাজও হয়নি। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে শিক্ষকরাও নেমেছেন। এই ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল ছুড়ে এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে প্রায় ৫০ জনকে গুলিবদ্ধ এবং ২০০ জনকে আহত করেছে।’
তাঁরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট এমন চরমে উঠেছে যে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সরকার তৈরি করেছে। হল উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের নামতে হবে কেন? বেদখলকৃত হল উদ্ধারের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার সেই দায়িত্ব না নিয়ে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়েছে। এর মাধ্যমে পুরান ঢাকার সাধারণ জনগণের সাথে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একইভাবে প্রতিবছর বাজেট ঘোষণা হয় কিন্তু নতুন হলের জন্য কোন বরাদ্দ হয়না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই বিষয়ে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আজকে পুলিশ যে হামলা চালালো তার দায় সরকার এবং প্রশাসন কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।’
তাঁরা অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসাথে ভিত্তিপ্রস্তরকৃত হলের কাজ অবিলম্বে শেষ করা, নতুন হল নির্মাণ করা এবং দখলকৃত হল উদ্ধারে সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
বার্তা প্রেরকঃ শরীফুল চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক
হল আন্দোলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলায়
তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাসুদ রানা এবং সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান হল উদ্ধার আন্দোলনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের উপর পুলিশের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য কোন হল নেই। ৫ বছর ধরে চলমান আন্দোলনে প্রশাসন কেবল আশ্বাস দিয়েই দায়িত্ব সেড়েছে। এবারও শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। তাদের এই ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ যে হামলা চালায় তা বর্বর এবং নজিরবিহীন। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে শিক্ষকরাও নেমেছেন। পুলিশের আক্রমণ থেকে তাঁরাও রক্ষা পায়নি। পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেটে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে প্রায় ৫০ জন গুলিবিদ্ধ এবং প্রায় ২০০ জন গুরুতর আহত হয়। আমরা এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই।’
তাঁরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট এমন চরমে উঠেছে যে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সরকার তৈরি করেছে। হল উদ্ধারে শিক্ষার্থীদের নামতে হবে কেন? বেদখলকৃত হল উদ্ধারের দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার সেই দায়িত্ব না নিয়ে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়েছে। এর মাধ্যমে পুরান ঢাকার সাধারণ জনগণের সাথে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একইভাবে প্রতিবছর বাজেট ঘোষণা হয় কিন্তু নতুন হলের জন্য কোন বরাদ্দ হয়না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই বিষয়ে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আজকে পুলিশ যে হামলা চালালো তার দায় সরকার এবং প্রশাসন কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।’
তাঁরা অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসাথে ভিত্তিপ্রস্তরকৃত হলের কাজ অবিলম্বে শেষ করা, নতুন হল নির্মাণ করা এবং দখলকৃত হল উদ্ধারে সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
বার্তা প্রেরকঃ তাহমিদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক