ঐতিহাসিক জাম্বুরি মাঠে কোনো ধরনের স্থাপনা চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবেনা
জাম্বুরি মাঠকে অবিলম্বে মিনি স্টেডিয়াম ঘোষণা করতে হবে
খেলার মাঠ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে আজ সকাল ১১টায় জাম্বুরি মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ২৮,২৯,৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মাঠ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক জান্নাতুল ফেরদাউস পপি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কদমতলী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছার, ডলফিন ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর আমির উদ্দিন, সদস্য সচিব ও গোসাইলডাঙ্গা যুবক গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মো. সায়দুল বাশার জুয়েল, কলামিস্ট সাখাওয়াত হোসেন মজনু, খেলাঘরের সহ-সভাপতি অ্যারসাদ হোসেন, সোনালী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন তরফদার, সিজিকেএস-এর কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম, বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. মুসা বাবলু, গোসাইলডাঙ্গা যুবক গোষ্ঠীর কার্যকরী সভাপতি আতাউর রহমান, মাদারবাড়ি মুক্তকণ্ঠ ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘের ক্রীড়া সম্পাদক মো. একরামুল হক, চট্টগ্রাম মহানগরী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ, ভোরের সাথীর সভাপতি তপন দে, বেচা শাহ্ যুব কল্যাণ সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মো. খুরশেদ আলম, তরুণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রঞ্জন খেলু, একতা গোষ্ঠীর শাওন চৌধুরী, প্রজন্ম-এর মন্জুর আলম, সেবা নিকেতনের সভাপতি আবদুল নূর, আলোর পথ বয়েজ ক্লাবের উপদেষ্টা এরশাদ সুজন, বন্ধন ক্লাবের মো. মাহমুদ, বৈশাখী খেলাঘর আসরের সভাপতি ইকবাল হোসন, মাঝিরঘাট ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. আকরাম হোসেন, কাঞ্চন সরকার প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন মহিন উদ্দিন বাপ্পী।
সভায় বক্তাগণ বলেন, চট্টগ্রাম শহরের আগ্রাবাদস্থ ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত জাম্বুরি মাঠ এক সময় খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র ছিল। এ মাঠের একাংশে গত কয়েক বছর আগে জনগণের প্রতিবাদ সত্ত্বেও শিশুপার্ক নির্মাণ করে মাঠকে সংকুচিত করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠের বাকি অংশে দীর্ঘদিন ধরে সবজি চাষ করাতে সেখানেও খেলাধুলার সুযোগ কমে গিয়েছে। অথচ এ এলাকার প্রায় ৭-৮ লক্ষ মানুষ ও ৩০-৪০টি স্কুলের ছাত্রদের খেলাধুলার জন্য শুধুমাত্র এই মাঠটিই রয়েছে। তাই এ বিখ্যাত এ মাঠটিকে রক্ষা করতে হলে এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে একে মিনি স্টেডিয়াম করার দাবি এলাকাবাসী ও ক্রীড়ানুরাগীদের দীর্ঘদিনের দাবি। দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম তরুণ সমাজকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থভাবে বিকশিত করতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম শহরে খেলাধুলার জন্য যেখানে মাঠের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম সেখানে বিদ্যমান মাঠগুলো একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলার এ আয়োজনের অভাবে আমাদের কিশোর-তরুণরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, মাদক-অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। একসময় চট্টগ্রাম থেকে দেশের জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় খেলোয়াড়রা অবদান রেখেছে। কিন্তু এখন মাঠের অভাবে খেলোয়াড়রা সঠিকভাবে ক্রীড়ানুশীলনও করতে পারছেনা। এলাকাবাসী ও ক্রীড়ানুরাগী মানুষেরা জাম্বুরি মাঠে কোনো ধরনের স্থাপনা মেনে নেবে না। সমাবেশ থেকে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠ রক্ষার আন্দোলনে এগিয়ে আসার এবং জাম্বুরি মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম ঘোষণা করার আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।