বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল – বাসদ বগুড়া জেলা শাখার প্রয়াত নেতা কমরেড কৃষ্ণ কমলের স্মরণ সভা ৭ নভেম্বর ২০১৪ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সাতমাথায় অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি বগুড়া জেলা শাখার সমন্বয়ক কমরেড সামসুল আলম দুলুর সভাপতিত্বে এবং জেলা শাখার সদস্য কমরেড রঞ্জন কুমার দে’র পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবত্তর্ী, ভাষা সৈনিক মাহফুজুল হক দুলু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচার্য্য, কমরেড কৃষ্ণ কমলের দাদা পীযুষকান্তি বর্মন, জাসদ নেতা আমিনুল ইসলাম মিঠু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটর্ির নেতা কমরেড এ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক কালের কণ্ঠ বগুড়া জেলার সাংবাদিক জে, এম রউফ, সিপিবি বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড এ্যাডভোকেট দুলাল কুন্ডু, গণসংহতি আন্দোলন বগুড়া জেলা কমিটির সমন্বয়ক কমরেড আব্দুর রশীদ, বাসদ বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য সচিব কমরেড সাইফুজ্জামান টুটুল, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগ বগুড়া জেলা কমিটির প্রবীণ নেতা কমরেড বাদশাহ্ খন্দকার, বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড ওবায়দুল্লাহ মুসা, মনজুর আলম মিঠু সহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভায় কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, কমরেড কৃষ্ণ কমল কিশোর বয়সেই স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনসহ শোষিত মেহনতী মানুষের মুক্তির সংগ্রামে একজন সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার ভিত্তিতে নিজের জীবন সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের যেমন অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তেমনি শোষিত মানুষের মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করা অকৃত্রিম এক বন্ধুর বিয়োগে প্রগতিশীল আন্দোলনেরও বড় ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে শোষণ বৈষম্যহীন সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থা নির্মাণের পরিপূরক বিপ্লবী জীবন গড়ে তোলার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং সেই সংগ্রামে সমর্থক শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।