বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার কর্মী সভা ৩০নভেম্বর’১৪ বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার সদস্য এ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিনহা সুমন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হৃদেশ মুদি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা, শাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক অনীক ধর।
কর্মী সভায় বক্তারা বলেন, মহাজোট সরকার আবারো আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আবাসিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্বিগুনেরও বেশি, সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ডিজেল-কেরোসিন ও বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ানোর। অপর দিকে দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে অসম চুক্তির মাধ্যমে একের পর এক তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানীর হাতে। বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের কথা বলে ‘দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের বিশেষ বিধান’ নামক আইন প্রণয়ন করে রেন্টাল, কুইক-রেন্টাল ব্যবসায়ীদের মুনাফা লোটার নিশ্চয়তা দিচ্ছে সরকার। গ্যাস, বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ গাড়িভাড়া , বাড়িভাড়া সমস্ত কিছুরই দাম বাড়বে। অথচ মহাজোট সরকার তাদের ভাষায় একের পর এক ‘সাফল্য’ ও ‘কৃতিত্ব’ প্রদর্শন করতে ব্যস্ত, কিন্তু সরকারের এ সাফল্যে জনগনের জীবন বিপর্যস্ত। দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। খুন-অপরাধ-অপহরণ, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ বাড়ছে ব্যাপক মাত্রায়,আর এর বিরুদ্ধে যাতে কোন আন্দোলন গড়ে না উঠে তার জন্যে সম্প্রচার নীতিমালার নামে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে, বিচারপতিদের আপসারণের ক্ষমতা তুলে দেয়া হয়েছে সংসদের হাতে – যা চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদের নামান্তর। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতি, ধনী-গরিব বৈষম্য, বেকার সমস্যাসহ জনগন সর্বব্যাপক সংকটে নিপতিত, অন্যদিকে সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অন্যদিকে সম্প্রতি সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক বক্তব্যে দেশের তরুনদের পরামর্শ দিয়েছেন সরকারের কাছে চাকুরি না চেয়ে নিজেরা যাতে কর্মসংস্থান তৈরি করে, যা দায়িত্বহীনতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।
বক্তারা দেশের এই সংকটকালে জনজীবনের জলন্ত সমস্যা নিয়ে বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।