আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
২৮ জানুয়ারি ২০১৫ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইতিপূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পালিত হয়। এর পূর্বে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইভা মজুমদার। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার।
বক্তরা বলেন, ‘সংঘাত আর সংঘর্ষের রাজনীতির বলি হয়ে চূড়ান্ত অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ দিনাতিপাত করছে। একইসাথে শিক্ষা কার্যক্রম হয়ে পড়েছে স্থবির। এর পাশাপাশি আরেক ধরনের ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হচ্ছে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ, যার ফলে প্রতিনিয়ত মনুষ্যত্ব-বিবেকের মৃত্যু ঘটে চলছে। প্রশ্নফাঁস হলো সেই সামাজিক ব্যাধি যা শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষের মধ্যে নৈতিকতার নূন্যতম মানকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। গত কয়েকবছরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে সকল পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাতেও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।’
বক্তরা আরও বলেন, ‘এ প্লাস পাওয়ার প্রতিযোগিতা এবং বাধ্যবাধকতার সুযোগ নিচ্ছে কোচিং সেন্টার, গাইড বইয়ের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহ। পরীক্ষার আগে বিভিন্ন নামীদামী শিক্ষকের শতভাগ কমন পড়ার নিশ্চয়তার সাজেশনে ছেয়ে যাচ্ছে বাজার। এসব শিক্ষক, কোচিং সেন্টার প্রভৃতির সাথে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে প্রশ্নপত্র। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে দিনের পর দিন প্রশ্নফাঁস করা সম্ভব নয়।’
বক্তরা অবিলম্বে প্রশ্নফাঁসের মতো ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। আগামী ২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় যেন কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁসের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে এখন থেকেই সর্বস্তরে মতামত তৈরির আহ্বান জানান। একইসাথে ইতিপূর্বে যারা প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণের দাবি জানান।