সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইডেন কলেজ শাখার উদ্যোগে ২৩ এপ্রিল ২০১৫ কলেজে বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছনা ও যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। দাবিসম্বলিত নানা ফেস্টুনসহকারে ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলা কালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকা দেওয়ান লিজা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, কলেজ কমিটির সদস্য সায়মা আফরোজ, লুবাইনা আন্নি। বিভিন্ন বিভাগ থেকে আগত কলেজ ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊর্মি, শাহনাজ, আসমা ও সোনিয়া।
বক্তারা বলেন, “বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। তবে আমরা অবাক হই রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা দেখে। অবিলম্বে নিপীড়কদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ পুলিশ ও প্রশাসনের শাস্তি দিতে হবে। যতদিন পর্যন্ত এ ঘটনার বিচার না হয় ততদিন আন্দোলন চলবে।”
বক্তারা আরো বলেন, “প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা দেখি খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌতুকের দায়ে হত্যা। এসব যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। দিন দিন এ ঘটনা বাড়ছে। যে কোনো উৎসবে নারীর উপর নিপীড়ন বাড়ছে। এসব ঘটনার পেছনের কারণ কী? আমরা মনে করি প্রধান কারণ, সমাজের অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারী পুরুষের সমমর্যাদা তো দেয়ই না, বরং নারীকে ভোগের বস্তুর বাইরে কল্পনা করতে পারে না। সিনেমা-বিজ্ঞাপন-মিডিয়ায় নারীকে যেভাবে পণ্যের মতো উপস্থাপন করা হয় তাতে সমাজের সুস্থতা থাকে না। সেল ফোন, সাইবার ক্যাফেতে অবাধে পর্ণোসাইটের ব্যবসা চলে। এভাবে যুবসমাজের সাংস্কৃতিক মেরুদ- ভেঙে দেয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে নারীরা প্রতিরোধ করবে সমাজে সে পরিবেশ নেই। উপরন্তু নারীদের মধ্যে পুরুষতান্ত্রিক ভোগবাদী মানসিকতা জন্ম দিতে কর্পোরেট বিজ্ঞাপন, পণ্যের সমাহার ঘটানো হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে। এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।”